প্রতিমার গায়ে ৬২ কেজির সোনার গয়না, বারাসাতের এই পুজোয় ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশেছে ঐশ্বর্য

বারাসাতের কালীপুজো বলতেই বোঝায় বাংলার অন্যতম ঝলমলে এক বিরাট এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব। কালীপুজোকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামে উত্তর ২৪ পরগনার এই শহর জুড়ে।

This traditional kalipujo in barasat gives 62 kgs gold ornament to the diety

আজকাল ওয়েবডেস্ক: বারাসাতের কালীপুজো বলতেই বোঝায় বাংলার অন্যতম ঝলমলে এক বিরাট এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব। কালীপুজোকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামে উত্তর ২৪ পরগনার এই শহর জুড়ে। বারাসাতের কালীপুজো বিখ্যাত কারণ নজরকাড়া থিম এবং চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জার জন্য। পরস্পরকে টক্কর দিতে এখানকার পুজো কমিটিগুলির মধ্যে চলে এক তুমুল প্রতিযোগিতা।

এখানকার অন্যতম একটি বড় পুজোর আয়োজক 'রেজিমেন্ট ক্লাব'। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া প্রতিবছরই বাইরে থেকে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় জমে এই ক্লাবের পুজো মন্ডপে।  প্রতিবছরই এই রেজিমেন্ট ক্লাব কোনও না কোনও  বিখ্যাত মন্দিরকে 'থিম' হিসেবে তুলে ধরে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার ৬৯তম বর্ষে তারা তৈরি করছে তিরুপতির বালাজি মন্দির। 

দক্ষিণ ভারতের এই মন্দিরে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত যান দর্শন করতে।  সেই মন্দিরের অনুকরণেই সাজছে রেজিমেন্ট ক্লাবের মণ্ডপ। এবার মণ্ডবের পাশাপাশি এখানকার মূর্তিও নজর কারবে দর্শনার্থীদের। দাবি উদ্যোক্তাদের। এবছর ৬২ কেজি সোনার গয়নায় সুসজ্জিত করা হবে কালী প্রতিমাকে। যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। আর সেই কারণেই মন্ডপের চারপাশ বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: 'ও দুঃখী হলে আমারও দুঃখ লাগে', বহু যুগের পরিচিত মাধবকে তবু কেন বাদ? 'ফাটাকেষ্ট কালী' পুজোর পরিচালক যা জানালেন...

শনিবার বারাসাতের রেজিমেন্ট ক্লাবের কার্যকারী সদস্য রিজু ঘোষ জানান, 'বারাসাত থানার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র পুলিশকর্মী থাকবেন। পাশাপাশি ক্লাবের তরফ থেকে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেহেতু মায়ের গায়ে এত টাকার সোনার গয়না থাকবে তাই সেরকমভাবেই নিরাপত্তার চাদরে পুরো মুড়ে ফেলা হয়েছে এই মন্ডপ। গত তিন মাস আগে থেকে এই মন্ডপের কাজ শুরু হয়েছে। মেদিনীপুরের ৩৫ জন শিল্পী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই মন্ডপ তৈরি করছেন।  আলোক শয্যায় থাকছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। থাকছে চন্দনগরের আলোকসজ্জা। তার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে দেবতার মাহাত্ম্য।' 

 নওপাড়ার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সন্ধ্যা নামলেই জমে ওঠে ভিড়। হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তা ধরে। আলোয় ঝলমল করে চারপাশ। তবে এখন দেখার এই প্রতিমা দেখতে কত মানুষের ভিড় জমে।