প্রস্তুতি প্রায় শেষ, নৈহাটির বড়মার পুজো কখন শুরু জানেন? আরতি হবে রাতের এই সময়ে
রাজ্যে সমস্ত কালীপুজোর মধ্যে নৈহাটির বড়মা অন্যতম। প্রতি বছরই এই বড়মার পুজোকে কেন্দ্র করে নৈহাটি রেল স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।

আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যে সমস্ত কালীপুজোর মধ্যে নৈহাটির বড়মা অন্যতম। প্রতি বছরই এই বড়মার পুজোকে কেন্দ্র করে নৈহাটি রেল স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।
নৈহাটি বড়কালী পুজো সমিতি ট্রাস্টের অন্তগর্তকে এই পুজোয় নিরাপত্তা থাকে চরমে। এবারেও তার অন্যথা নেই। সোমবার কালীপুজো। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে নৈহাটির বড়মায়। কখন শুরু হচ্ছে পুজো?
এই প্রতিবেদন রয়েছে বিস্তারিত তথ্য। নৈহাটি বড়কালী পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুজো আমাদের ২০ তারিখ। রাত ১২টা নাগাদ পুজো শুরু হবে’।
জানা গেল, সকাল থেকে তোড়জোড় চলবে। কারণ, তাপস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সোমবার ভোর রাত থেকে শুরু হয়ে যাবে দণ্ডি কাটা। চলবে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত।
রাত ১২টা নাগাদ পুজো শুরু হওয়ার পর রাত ২.৩০ থেকে ৩টি পর্যন্ত আরতি এবং অঞ্জলি চলবে। তিনি বলেন, ‘অঞ্জলির পর রাত তিনটে থেকে ভোগ বিতরণ হবে। ৩টে থেকে শুরু হবে সন্দেশ কুপন বিতরণও’।
এবারে মোট ৩০০০ কিলো ভোগ রান্না হচ্ছে বলে জানালেন পুজো সমিতির সম্পাদক। প্রত্যেক বছরের মতোই এই বছরেও গোটা পুজো ভার্চুয়ালি লাইভ হবে।
যারা পুজোর জায়গায় যেতে পারবেন না ভার্চুয়ালিও অঞ্জলি দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে পুজো কমিটি। জানানো হয়েছে, পরের দিন অর্থাৎ ২১ তারিখ দুপুর ২টো এবং রাত ৯টা নাগাদ পুজো হবে।
২২ তারিখ দুপুর ২টো এবং রাত ৯টা নাগাদ পুজো হবে। ২৩ তারিখও একই সময়ে পুজো হবে। ২৪ তারিখ বিকেল ৪টে নাগাদ প্রতিমা ধীরে ধীরে নিরঞ্জনের পথে এগিয়ে যাবে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাও চরমে।
জানা গিয়েছে, এবার তিনশোর বেশি স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন পুজো মণ্ডপ সহ স্থানীয় এলাকায়। থাকছে হেল্প সেন্টারও। প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। স্টেশনে থাকছে আরপিএফও।
৮০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরায় টানা নজরদারি চলবে। এছাড়াও গঙ্গার ঘাট, বড়মার মন্দির ও নৈহাটি স্টেশন চত্বরে একটি করে এলইডি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, পুজোর কয়েকটা দিন বিশেষ করে যারা ট্রেনে আসবেন নৈহাটি স্টেশন দিয়ে বেরোনোর জন্য আলাদা রাস্তা থাকছে। যাতে দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়।
স্টেশনে প্রবেশের জন্য ওভারব্রিজ এবং বেরোনোর জন্য সাবওয়ে থাকছে। অর্থাৎ, মুখোমুখি হতে হচ্ছে না যাত্রীদের। ফলে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।