‘রাত ২টোয় ভূত দেখতে গিয়েছিলাম!’ শুটিং সেটের ‘ভৌতিক’ অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়?
Bhoot Chaturdashi 2024 ভূত চতুর্দশীতে ভূতপ্রেত নিয়ে উঠে আসে নানা কাহিনি। ভূত নিয়ে পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী অভিজ্ঞতা? আজকাল ডট ইনকে জানালেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভূত নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কেউ বলেন, ভূত দেখেছেন। কেউ আবার চোখে না দেখলেও অভিজ্ঞতার কথা বলেন। ভূত নিয়ে আলোচনা-গল্প শুরু হলে নিমেষে যেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফুড়িয়ে যায়। তবে ভূত বলে কি সত্যিই কিছু আছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর না মিললেও হিন্দু ধর্মের প্রচলিত বিশ্বাস, কালীপুজোর আগের দিন ভূত চতুর্দশীতে নাকি মর্ত্যে নেমে আসেন মৃত পূর্ব পুরুষরা। তাঁদের খুশি করতে এদিন নানা আচার পালন করার প্রথাও রয়েছে। আর এই দিনেই ভূতপ্রেত নিয়ে উঠে আসে নানা কাহিনি।
সত্যি কি ‘তেনাদের’ অস্তিত্ব রয়েছে? তেমনটা মানেন না পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভূতে একেবারে বিশ্বাস নেই ‘সোনাদা’র স্রষ্টার। ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধনের’-এর পরিচালক বলেন, “আমি একেবারেই ভূতে বিশ্বাস করি না।” মজার ছলে তাঁর সংযোজন “ইদানীং মানুষের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে যে ভূতেরা অত্যন্ত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথায় পালাবে, কোথায় লুকোবে কিছুতেই জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না তারা। আগে কালীপুজোর সময় শ্মশানের আশেপাশে তাও যা দৌড়ছাপ করে বেড়াত, আজকাল আমরা শ্মশানেও ঠাকুর দেখতে এত যাচ্ছি, সেখানেও তারা লুকানোর জায়গা পাচ্ছে না।”
শুটিংয়ের জন্য অনেক সময়ে পরিচালককে বিভিন্ন নির্জন প্রান্তে ছুটে যেতে হয়। তেমন কোনও ভূতুরে অভিজ্ঞতা কি হয়েছে ধ্রুবর? এককথায় উত্তর দেন, “ভূত নিয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতা কিছু নেই।” তবে কি কোনও ছেলেবেলার স্মৃতি রয়েছে? পরিচালকের কথায়, “ভূতের অভিজ্ঞতা বলতে, “আমার বাড়ি ভবানীপুরে, পাশেই পটুয়াপাড়া। কালীপুজোয় কালী ঠাকুরের থেকেও প্রতি বছর নতুন কী কী সাতচুন্নি আর ব্রক্ষ্মদৈত্য তৈরি হচ্ছে তাতেই আমাদের বেশি আগ্রহ থাকত। সেইগুলো পটুয়াপাড়ায় দেখতে যাওয়া ছিল মজা।”
ভূতে বিশ্বাস না হলেও কোনও বিশেষ জায়গাকে কেন ভূতুরে বলা হয়, তা বোঝার চেষ্টা করতে চান ‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’-র পরিচালক। তিনি বলেন, “কোথাও বা কোনও বাড়িতে ভূত আছে শুনলে মনে হয় সবার আগে গিয়ে দেখে আসি। বিজ্ঞানের প্রেক্ষিতে সেই জায়গাটি কেন মানুষের ভূতুরে মনে হয় তা বোঝার চেষ্টা করি। কোনও নির্দিষ্ট ভৌতিক আলো, কোনও আওয়াজ এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় কিনা তার সন্ধান করতে চাই।”
'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন' যেখানে শুটিং হয়েছিল সেই শিমূলতলা রাজবাড়ি দেশের অন্যতম ভূতুরে জায়গা বলে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই এমন জায়গায় ভূতের অস্তিত্ব টের পাওয়ার আগ্রহ তো থাকবেই! ধ্রুব বলেন, “কনকনে ঠান্ডায় রাত ২টো-আড়াইটের সময়ে সেটের কাজ চলাকালীন সবাই মিলে ভূত দেখতে গিয়েছিলাম। তবে মনে হয়, আমরা এতজন মিলে গিয়েছিলাম যে তারা থাকলেও আর দেখা দেওয়ার সুযোগ পায়নি।”
ইদানীং হিন্দি থেকে বাংলা, ভূতের গল্প নিয়ে ছবি তৈরির ট্রেন্ড বেশ নজরে আসছে। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি তেমন পরিকল্পনা রয়েছে? পরিচালকের কথায়, “আমার প্রফেসর ভূতনাথ নিয়ে এগোনোর কথা ছিল। দেখা যাক আগামী দিনে হয় কিনা।”