প্রবাস জীবনের দুর্গাপুজোয় যেন কলকাতার স্বাদ! বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ ভিক্টোরিয়ার আয়োজন জমকালো

উল্লেখ্য এ বার, এই সংগঠনের ৩৬ বছরের পুজো। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা বয়ে চলেছেন এই বাঙালির ঐতিহ্যকে। কলকাতা শহর থেকে এত দূরে থেকেও বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি তাঁরা বয়ে চলেছেন নিজস্ব ঢঙে।

bengali association o victoria celebrated this years durga puja with full joy
পুজোর আয়োজনে ছিল না খামতি

কলকাতা থেকে অনেক দূরে হোক, তবু তাতেও পুজোর আয়োজনে কেন পড়বে ভাঁটা? এ বারেও অস্ট্রেলিয়ার সাগরপাড়ে বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ ভিক্টোরিয়ার আয়োজনে ধুমধাম করে পালিত হল দুর্গাপুজো। গত ১১ অক্টোবর থেকে তিনদিন ধরে পুজো আয়োজিত হল অ্যাসোসিয়েশনে সদস্যদের সাগ্রহ অংশগ্রহণে। হল সব নিয়ম মেনেই। প্রথম দিন হল দেবীর বোধন ও ষষ্ঠী পুজো। উল্লেখ্য এ বার, এই সংগঠনের ৩৬ বছরের পুজো। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা বয়ে চলেছেন এই বাঙালির ঐতিহ্যকে। কলকাতা শহর থেকে এত দূরে থেকেও বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি তাঁরা বয়ে চলেছেন নিজস্ব ঢঙে। 

পুজোর আগে, এই বছর ৬ অক্টোবর সংসগঠনের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি মিট অ্যান্ড গ্রিট। সেখানে বাঙালি খাবারের আয়োজন যেমন ছিল, তেমনই ছিল খাবারের বিশাল আয়োজন। তবে সেটা ছিল উসবের মরশুমের সূত্রপাত। তারপর আয়োজন আরও বহরে বেড়েছে অনেকটাই। কী ছিল না সেই পুজোয়। সাবেকি পুজোয় যা থাকে, তা প্রায় সবই ছিল। ছিল কেতাবী বাঙালি কায়দায় পরা শাড়ি, পাঞ্জাবিতে সাজানো মানুষের বিপুল অংশগ্রহণ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ধুনুচি নাচের অংশগ্রহণ করা মানুষদের দিকে তাকালে মনে হবে, তাঁরা যেন কলকাতা থেকে যোজন-যোজন দূরত্বে থেকেও রয়েছেন কোনও এক মিনি কলকাতায়। 

পুজোর সঙ্গীও ছিল একেবারে বাঙালি খাবারে ভরা। ছিল পোলাও, ছানার ডালনা, চিকেন ডাকবাংলো। ছিল গুড়ের রসগোল্লা, গুড়ের সন্দেশ, মাখা সন্দেশ পাটিসাপ্টা, কেশর মালাই পেস্তা, মাখা সন্দেশ। সব মিলিয়ে পুজো হলো বিপুল আয়োজনে। সংগঠনের সভাপতি সুরস্মী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'দুর্গাপুজো হল আনন্দ, ভক্তি ও একসঙ্গে বেঁচে থাকার এক উৎসব। আমরা এই উৎসবে এস জায়গায় হয়েছি, মা দুর্গাকে পুজো করতে। সেই সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যকে যাপন করতে।'

সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা প্রবাসে বাঙালি জীবনের এক ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলতে চান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সেই ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলেওছেন। বাঙালির উৎসবের প্রতিটি দিক তাঁরা উদযাপন করেন। এই বছর কালী পুজো হচ্ছে আগামী ১ নভেম্বর। এ ছাড়া, প্রতিবছর নিয়ম করে নববর্ষ পালন করা হয়। মোট কথা বাঙালি জীবনের সবটাই চেটেপুটে উপভোগ করেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঙালিরা।