কালীপুজোয় মুক্ত করা হয় 'প্রেত কুয়া'র বন্দি আত্মাদের, সাক্ষী থাকতে ভিড় জমান উৎসাহীরা 

Kali Puja: কালীপুজোর সময় আসানসোলের কালীপাহাড়ি হয়ে ওঠে আরেক গয়াক্ষেত্র। যেখানে অতৃপ্ত আত্মাদের পিণ্ডদান করে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘুরিয়ে বললে মুক্ত করা হয় ভূত, প্রেত  বা পিশাচদের।

Captivated evil spirits are freed from Pret Kuan of Kalipahari on Kali Puja

আজকাল ওয়েবডেস্ক: কালীপুজোর সময় আসানসোলের কালীপাহাড়ি হয়ে ওঠে আরেক গয়াক্ষেত্র। যেখানে অতৃপ্ত আত্মাদের পিণ্ডদান করে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘুরিয়ে বললে মুক্ত করা হয় ভূত, প্রেত  বা পিশাচদের। কালীপাহাড়ির এই কুয়াটি পরিচিত 'প্রেত কুয়া' নামে। পুজোর সময় নাকি কুম্ভযজ্ঞ তিথিতে মুক্ত হয় বন্দি থাকা সমস্ত প্রেত ও পিশাচ। এরকমই দাবি 'বিশ্বগয়া মা কালীবুড়ি' মন্দিরের তান্ত্রিকের। তান্ত্রিক প্রদীপ বাবার এই যুক্তি বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছে অবশ্যই অসার। কিন্তু ঘটনার সাক্ষী হতে উৎসাহীরা ভিড় জমান কালীপূজার দিন। 

কালীপুজোর আগের দিন ভূত চতুর্দশী। সেই সময় থেকেই আসানসোলের বিশেষ এই মন্দিরে শুরু হয় ভূতপ্রেত নিয়ে তন্ত্রমন্ত্রের জোর চর্চা। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই মন্দির চত্বরেই রয়েছে এক কুয়া। যার মুখ খাঁচাবন্দি। গায়ে লেখা 'প্রেত কুয়া'। তান্ত্রিক প্রদীপ বাবার দাবি, জাতীয় সড়কের ধারে দুর্ঘটনায় কারুর মৃত্যু হলে বা স্থানীয় কোনও ব্যক্তি যদি অপঘাতে মারা যান তবে তাঁর সেই অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায় এলাকায়। পথচলতি মানুষের সেই আত্মা ক্ষতি করতে পারে। যাতে এটা আটকানো যায় সেজন্য মা কালীবুড়ির সহায়তায় মন্ত্রবলে তাদের এই কুয়ার মধ্যে আটকে রাখা হয়। তান্ত্রিকের কথায়, 'কালীপুজোর সময় বিশেষ তিথি দেখে মহাকুম্ভ যজ্ঞ করা হয়। যজ্ঞ শেষে কুয়ায় পিণ্ডদান করে ওই আত্মাদের প্রেতযোনি থেকে মুক্ত করা হয়।' 

আদৌ কি এই ধরনের অলৌকিক বা আজগুবি দাবি বিশ্বাসযোগ্য? তান্ত্রিকের দাবি, 'কালীমূর্তির পাশেই দেখা যায় ডাকিনী, যোগিনী এবং ভূত ও পিশাচদের। যদি মা কালীকে সবাই ভক্তিভরে পূজা করেন তবে ভূত, পিশাচ বা প্রেতের অস্তিত্ব মানতে অসুবিধা কোথায়? যদি দেবতা মানা হয় তবে অপদেবতাকেও মানতে হবে।' তান্ত্রিকের এই দাবি বিজ্ঞানভিত্তিক না হলেও প্রতিবছরই কালীপূজায় বিশেষ তন্ত্র সাধনা দেখতে ভিড় জমান কালীপাহাড়ির বাসিন্দারা।