ভক্তদের আগে প্রসাদ খাওয়ানো হয়, তারপর পুজো পান দেবী

কালীপুজোর আগের দিন রাতেই পুজো হয়ে গেল পূর্ব বর্ধমানেের খণ্ডঘোষের তরুল গ্রামে। গত ৩৫০ বছর ধরে এই পুজোর এটাই রীতি। যা মেনে আসছেন এই গ্রাম এবং তার আশেপাশের এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। বুধবার রাতে তাঁরা সকলেই এসেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন গ্রামের এই ঐতিহ্যবাহী পুজোয়।

The alms given by deities help to organise Kali Puja at Khandaghosh gnr

আজকাল ওয়েবডেস্ক: কালীপুজোর আগের দিন রাতেই পুজো হয়ে গেল পূর্ব বর্ধমানেের খণ্ডঘোষের তরুল গ্রামে। গত ৩৫০ বছর ধরে এই পুজোর এটাই রীতি। যা মেনে আসছেন এই গ্রাম এবং তার আশেপাশের এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। বুধবার রাতে তাঁরা সকলেই এসেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন গ্রামের এই ঐতিহ্যবাহী পুজোয়। 

গ্রামবাসী ও ভক্তদের কথা অনুযায়ী এই পুজোর মাহাত্ম্য হল, কালীপুজোর আগের দিন রাতে পুজো হওয়া। এই দেবীকে সবাই বলে 'ক্ষেপীমা'। এখানে পঞ্চমুণ্ডির আসন রয়েছে। কার্তিক চতুর্দশীর দিন বা কালীপুজোর আগের রাতে এখানে দেবীর পুজো হয়। পুজো উপলক্ষে ব্যবস্থা করা হয় খিচুড়ি ভোগের। প্রায় ১০ হাজার ভক্তকে দেওয়া হয় এই প্রসাদ। বিশেষত্ব হল, আগে ভক্তদের (deities) প্রসাদ খাওয়ানো শেষ হলে তারপর শুরু হয় দেবীর আরাধনা। 

জনশ্রুতি, বহু বছর আগে একজন সাধিকা এখানে আস্তানা গেড়েছিলেন। তাঁর চেষ্টায় দেবী মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনও মন্দিরের কোনও স্থায়ী আয় নেই। সারাবছর সেভাবে কারোর থেকে কিছু চাওয়া না হলেও পুজোর তিনদিন আগে আয়োজনের জন্য সকলের থেকে 'ভিক্ষা' (alms) নেওয়া হয়। ফেরান না কেউই। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় উঠে আসে এক বিরাট খরচ।