রক্ত ভর্তি সরা থাকে প্রতিমার হাতে, দেবীর সামনে হয় পাঁচটি প্রাণীর বলি

কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের এই পুজোর বয়স প্রায় সাড়ে চারশো বছর। স্থানীয় মানুষের কাছে এই দেবী 'বড় তারা' হিসেবে পরিচিত। পুজো হিসেবে কোচবিহার-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ এবং নিম্ন অসমের অন্যতম বড়। কোচবিহারের মহারাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় যে সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতো এখন তার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে দেবত্ব ট্রাস্ট বোর্ড।

Coochbehar Baro Tara Puja is famous in North Bengal and Assam

আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের এই পুজোর বয়স প্রায় সাড়ে চারশো বছর। স্থানীয় মানুষের কাছে এই দেবী 'বড় তারা' হিসেবে পরিচিত। পুজো হিসেবে কোচবিহার-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ এবং নিম্ন অসমের অন্যতম বড়। কোচবিহারের মহারাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় যে সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতো এখন তার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে দেবত্ব ট্রাস্ট বোর্ড। এরই অধীনে কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে বড় তারার পুজো হয়ে আসছে। 

রাজ পুরোহিত দীনেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, 'দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পুজোর সময় দেবীর সামনে পঞ্চবলি প্রথা চালু আছে। এবছরও তাই হবে। এরপর হোম এবং দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। আনুমানিক রাত আটটা নাগাদ পুজো শুরু হবে। পুজোর মন্ত্র এবং নিয়মাবলী তালপাতার উপর দেবনাগরী হরফে লেখা রয়েছে। সেই মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেই পুজো করা হয়। অনেকটা সময় ধরেই পুজো করা হয়।' 

এই পুজোর রীতি সাধারণ পুজোর থেকে আলাদা। এখানে পুজোর সময় যে পাঁচটি প্রাণীর বলি দেওয়া হয় সেগুলি হল পাঁঠা, মেষ, হাঁস, পায়রা এবং মাগুর মাছ। বলি হওয়া প্রাণীদের রক্ত সরায় ভর্তি করে দেওয়া হয় দেবীর হাতে। এখানে দেবীর ভোগে 'সাটি' মাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

উপাচারের সঙ্গে এই প্রতিমার রুপেও রয়েছে বৈশিষ্ট্য। প্রায় সাড়ে দশ হাত উচ্চতা বিশিষ্ট চার হাতের এই প্রতিমা ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। সচরাচর যে প্রতিমা দেখা যায় তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ডানহাতে রয়েছে খর্গ। দেবীর হাতে নেই মুণ্ডমালা। রয়েছে রক্ত ভর্তি একটি সরা। বংশ পরম্পরায় দেবী মূর্তি গড়ে আসছেন প্রভাত চিত্রকর-এর পরিবার। লক্ষ্মী পুজোর পরেই শুরু হয় প্রতিমা নির্মাণ। শেষ হয় পুজোর দিন সকালবেলা।