৭৫বছর ধরে বংশ পরম্পরায় পাড়ার কালীপুজো করে আসছে ব্যানার্জি পরিবার
Kali Puja: বংশ পরম্পরায় পাড়ার এই কালীপুজো করে আসছে ব্যানার্জি পরিবারের ছেলেরা। এই মন্দির তৈরি হয়েছিল ১৯৫১ সালে।
তীর্থঙ্কর দাস: পুজো উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা রত্না শুর, অভিনেত্রী দীতিপ্রিয়া রায়, প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশীষ চক্রবর্তী এবং সঙ্গীত শিল্পী সৈকত মিত্র।
বংশ পরম্পরায় পাড়ার এই কালীপুজো করে আসছে ব্যানার্জি পরিবারের ছেলেরা। এই মন্দির তৈরি হয়েছিল ১৯৫১ সালে। ৭৫ বছরে পা দিল শহর কলকাতার এই পুজো।
দেবী এখানে পুজিত হন দক্ষিণাকালী রূপে। এই মন্দিরের পুজোয় রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্বও। কী সেগুলি? দেবীর অলঙ্কার থেকে শুরু করে মাথার মুকুট, হাতের অস্ত্র, তিনটি চোখের মণি, জিভ, পায়ের তোড়া প্রায় সব কিছুই সোনা আর রুপোর তৈরি। পুজোর পরে প্রতিমার অলঙ্কার খুলে রাখা হয় বেশিরভাগ জায়গায় কিন্তু এখানে বছরব্যাপী মায়ের গায়ে পরানো থাকে। এখনও পাঠা বলি দেওয়া হয় এই কালী মন্দিরে। যেহেতু মা এখানে প্রতিষ্ঠিত, সেই কারণে চলতি বছরের প্রতিমার ভাসান হয় না। ভাসান হয় শেষ বছরের প্রতিমার।
মণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসে এই পুজো শুরু করেন ১৯৫১ সালে। তাঁর মৃত্যুর পর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তাঁর ছেলে সুকুমার ব্যানার্জি। বর্তমানে এই পুজোর ভার সামলান মণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির দুই নাতি সদানন্দ, দীপঙ্কর।
পুজোর দিনে গোটা পাড়া একসাথে হয়ে মায়ের পুজো উপভোগ করে। করা হয় ভোগ, পৌঁছে দেওয়া হয় পাড়ার প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। পুজোর আরাধনায় মত্ত থাকেন দুই ভাই সদানন্দ, দীপঙ্কর তাই পুজোর বাইরে দায়িত্বভার সামলান পাড়ার প্রত্যেকে। পুজোর দিন দেবী দর্শন করতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।