কালীপুজোর আগের দিন খেতেই হবে চোদ্দ শাক, না খেলে কী হবে জানেন?

choddo saag: দীপান্বিতা কালীপুজোর আগের দিন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। নিয়ম মেনে, তিথি অনুযায়ী, বাড়ির মা-ঠাকুমারা এখনও চোদ্দ শাক রান্না করে থাকেন। আর দুপুরের ভাতের প্রথম কয়েক দলায় সেই শাক খাওয়া অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বাড়ির সমস্ত সদস্যের। এই চোদ্দ শাক খাওয়ার পিছনে একদিকে যেন একাধিক পৌরাণিক বা ধর্মীয় কারণ লুকিয়ে রয়েছে অন্যদিকে আছে স্বাস্থ্যকর উপাদানও। 

Before the auspicious day of Kalipuja eating 14 various types of saags or 'choddo saag' is a ritual from the ancient time 

আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ, দীপান্বিতা কালীপুজোর আগের দিন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। নিয়ম মেনে, তিথি অনুযায়ী, বাড়ির মা-ঠাকুমারা এখনও চোদ্দ শাক রান্না করে থাকেন। আর দুপুরের ভাতের প্রথম কয়েক দলায় সেই শাক খাওয়া অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বাড়ির সমস্ত সদস্যের। এই চোদ্দ শাক খাওয়ার পিছনে একদিকে যেন একাধিক পৌরাণিক বা ধর্মীয় কারণ লুকিয়ে রয়েছে অন্যদিকে আছে স্বাস্থ্যকর উপাদানও। 

কথিত আছে, পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার পর এদিনই পিতৃপুরুষরা মর্ত্যের কাছাকাছি আসেন। তাঁদের উদ্দেশেই বাড়িতে জ্বালানো হয় চোদ্দ প্রদীপও। 
হিন্দুশাস্ত্র মতে, সেই প্রথারই অংশ হিসাবে খাওয়া হয় চোদ্দ শাক। আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি— প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁদের আশীর্বাদ পাওয়ার উদ্দেশ্যে এই রীতি পালন করা হয়।অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এখন অবশ্য বাজারে এই চোদ্দ শাক কিনতে পাওয়া যায়। 

আমাদের আগের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে, আগামী সাত পুরুষের মঙ্গল কামনার জন্য খাওয়া হয় এই চোদ্দ শাক। জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। মূলত এই চোদ্দ রকমের শাক রান্না করা হয়। অশুভ শক্তি বিনাশের উদ্দেশ্যে স্নান করে এই চোদ্দশাক খেয়ে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোই হল ভূত চতুর্দশীর রীতি।

সুস্থ থাকতে শাকের কোনও বিকল্প নেই। সিজন চেঞ্জের সময় যেহেতু রোগজ্বালা লেগেই থাকে তাই এদিন শাক খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, সেই সঙ্গে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও মজবুত করে।