বছরে একদিন শিকল থেকে মুক্তি পান কালী, জানেন কোথায় আছে এই মন্দির?
ভক্তের মৃত্যুর পর মনখারাপ করে দেবী মন্দির থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন। তাই মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে দেবীকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এখনও শিকল বাঁধা অবস্থাতেই দেবী নিত্য পূজা গ্রহণ করেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটির এই কালী মন্দির পরিচিত লচ্ছিপুর (lachhipur Kali Mondir) সর্বজনীন কালী মাতার মন্দির নামে।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভক্তের মৃত্যুর পর মনখারাপ করে দেবী মন্দির থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন। তাই মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে দেবীকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এখনও শিকল বাঁধা অবস্থাতেই দেবী নিত্য পূজা গ্রহণ করেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটির এই কালী মন্দির পরিচিত লচ্ছিপুর (lachhipur Kali Mondir) সর্বজনীন কালী মাতার মন্দির নামে। মন্দিরের দেবীকে ঘিরে শোনা যায় অজস্র অলৌকিক ঘটনা।
মন্দিরের ইতিহাস খোঁজ করলে শোনা যায়, অতীতে মাটির তৈরি এই মন্দিরে দেবীর আরাধনা করতেন ইন্দু দিয়াসি নামে এক ভক্ত। ঝড়বৃষ্টি যাই হোক না কেন, দেবীর নিত্য আরাধনা কোনোদিনই বাদ দেননি তিনি। কেউ কেউ বলেন, দেবীর সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো ইন্দুর। জনশ্রুতি, এরকম প্রিয় ভক্তের মৃত্যুর পর দেবী শোক পেয়ে মন্দির ত্যাগ করে চলে যেতে চেয়েছিলেন।
সেইসময় ইন্দুর একটি হাত কেটে এনে কোনোরকমে দেবীর যাত্রা ভঙ্গ করা হয়। এই ঘটনার পর আর ঝুঁকি নেননি সেবকরা। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেবীকে মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে শিকল বন্দি করেন। একমাত্র দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিন দেবীকে শিকল বাঁধা অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়। সেইদিন দেবী প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর কাঠামো তুলে এনে ফের মূর্তি গড়া হয়।
কুলটির এই মন্দিরে অন্যান্য দেবদেবী থাকলেও জনশ্রুতি কালী প্রতিমা খুবই জাগ্রত। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে যান দেবীর আশীর্বাদ পেতে। শোনা যায় ভক্তদের কাউকেই খালি হাতে ফেরান না তিনি। লোকমুখে শোনা যায়, বর্তমান যিনি সেবক সেই ষষ্ঠী পণ্ডিতের উপর দেবী পূজার দিন ভর করেন। কথিত আছে কালীপূজার দিন সেবক ষষ্ঠী পণ্ডিতের উপর ভর করেন দেবী। পূরণ করেন ভক্তদের মনোবাঞ্ছা। অজস্র ভক্ত সেইদিন ভিড় করেন মন্দিরে। ওইদিন বিশেষ পূজার্চনা হয়।