বারাসাতের 'সন্ধানী', এবার তাদের সন্ধানে ইসকন মন্দির, হবে দিনরাত হরিনাম সংকীর্তন

দুর্গাপুজো বলতে গেলে যেমন ভেসে ওঠে কলকাতার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ, তেমনি কালীপুজো মানেই বারাসতের ঠাকুর দেখা।

Barasat sandhani club to celebrate 2025 kalipuja

আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুজো বলতে গেলে যেমন ভেসে ওঠে কলকাতার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ, তেমনি কালীপুজো মানেই বারাসতের ঠাকুর দেখা। দুর্গাপুজোয় শহরতলি ও গ্রামের মানুষের ভিড় কলকাতামুখী হলেও, কালীপুজোয় কিন্তু ছবিটা একটু বদলে যায়। সব রাস্তাই কিন্তু শেষ হয় বারাসাতেই। কারন এই জায়গা  কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত। বারাসতের দিকে পা বাড়ান লক্ষ লক্ষ মানুষ। একের পর এক ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলি বড়  বাজেটের পুজোর আয়োজন করে প্রতিবছর। বারাসতের পুজো কমিটিগুলো দারুণভাবে সাজিয়ে তোলে তাদের মণ্ডপ।

জমজমাট বারাসাতের কালীপুজো।  উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এই প্রান্তে কালীপুজোকে কেন্দ্র করেই অভূতপূর্ব উন্মদনার জোয়ার বয়ে যায় টানা ক'দিন ধরে। আলোর উৎসবের অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠে আট থেকে ৮০। এবারও তার অন্যথা হবে না। নজরকাড়া 'এক সে বড় কর এক' পুজোমণ্ডপ আর সেই অনুযায়ী প্রতিমা, নজর কাড়বে বারাসাতের  অলিগলিতে। একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার মরিয়া চ্যালেঞ্জ বারাসাতের  পুজো কমিটিগুলির। এখানকার বিখ্যাত পুজোর মধ্যে একটি হল সন্ধানী ক্লাবের পুজো। এই বছর তাদের কালীপুজোর থিম মায়াপুরের ইস্কন মন্দির।

আরও পড়ুন: হয় পশুবলি, দেবীকে মড়ার খুলিতে পান করানো হয় কারণ, জমিদারবাড়ির এই পুজোয় রাত যত গড়ায় ততই তৈরি হয় গা ছমছমে পরিবেশ

তবে রোম যেমন একদিনে গড়ে ওঠেনি তেমনি বারাসাতের পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায় অনেকদিন আগে থেকেই। কারণ, সময়মতো শেষ করতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই বারাসাত সন্ধানী ক্লাবের সেক্রেটারি প্রেমা রায় জানান,  গত তিনমাস আগে থেকে এই প্যান্ডেলের খুঁটিপুজো হয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু হয়েছে। এবারে তাঁদের এই শ্যামাপুজো ৬৫তম বর্ষে পদার্পণ করল। মূলত ফাইবার দিয়েই তৈরি হচ্ছে তাঁদের থিম এই মায়াপুরের ইসকন মন্দির। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রায় ৪০ জন শিল্পী ও তাঁদের সহযোগীরা এই মন্ডপ গড়ে তুলছেন। 

তাঁর কথায়, মায়াপুর ইসকন মন্দিরে যেমন দিনরাত ভগবানের নাম সংকীর্তন হয় তেমনি এখানেও দিনরাত নাম সংকীর্তন চলবে মন্দিরের ভেতরে। কুড়িজনের একটি নাম সংকীর্তনের দল এই মন্দিরে পুজোর ক'টা দিন থাকবে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে অন্য বছরের মতো এই বছরও বয়স্ক ব্যক্তিরা যাতে সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন সেজন্য একটি প্রবেশদ্বার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বারাসাতের কালীপুজোকে কেন্দ্র করে যে পরিমাণ ভিড় হয় সেই ভিড়ের সকলেই যাতে প্রতিমা ও মণ্ডপের ভিতর দর্শন করতে পারেন সেজন্য সবার জন্য তাঁরা একটি লাইনেরই ব্যবস্থা করেছেন যাতে মানুষ সুস্থভাবে এই মন্ডপ পরিদর্শন করতে পারেন। এখন দেখার বিষয় বারাসাতে অন্য বড় পুজোগুলির পাশাপাশি সন্ধানী ক্লাবের পুজো কতটা চমক দিতে পারে।