ডুয়ার্সের সবচেয়ে বড় পুজো মণ্ডপ, মাথা তুলছে আলিপুরদুয়ার শহরে
ডুয়ার্সের সবচেয়ে বড় পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে আলিপুরদুয়ার শহরে। দাবি করছেন পুজো উদ্যোক্তারাই। আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় যুবসংঘ কালীবাড়িতে মাথা তুলছে এই মণ্ডপ।
অম্লানজ্যোতি ঘোষ, আলিপুরদুয়ার
ডুয়ার্সের সবচেয়ে বড় পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে আলিপুরদুয়ার শহরে। দাবি করছেন পুজো উদ্যোক্তারাই। আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় যুবসংঘ কালীবাড়িতে মাথা তুলছে এই মণ্ডপ। ১২০ ফুট উচ্চতা, লম্বায় ১৭১ ফুট, চওড়া ১৪২ ফুট। দুধ সাদা সাবেকি ধাচের মণ্ডপটি তৈরি হচ্ছে বৃন্দাবনের বিখ্যাত ‘প্রেম মন্দির’ এর আদলে।
অনেকে বলছেন, এটা ডুয়ার্সের মধ্যে বড় নয়, বরং উত্তরবঙ্গের মধ্যে সর্ববৃহৎ মণ্ডপ হতে চলেছে। বিশালাকার এই মণ্ডপে অবিকল প্রেম মন্দিরের রূপ দেবেন শিল্পী জয়ন্ত সাহা। এর জন্য ৬ মাস আগেই নিজের টিম নিয়ে বৃন্দাবন ঘুরে এসেছেন। জয়ন্ত সাহার দাবি, উত্তরবঙ্গে কোনও মণ্ডপের ভেতরে একসঙ্গে ৫০০–৭০০ লোক দাঁড়িয়ে প্রতিমা দর্শন করতে পারবে না।
তবে আমাদের প্রেম মন্দিরের আদলে গড়া মণ্ডপে ৭০০ লোক সহজেই দাঁড়াতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই, এই মণ্ডপের কাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করেছে। ভিড় হতে পারে আন্দাজ করে মণ্ডপে প্রবেশ ও বের হওয়ার ৪টি গেট তৈরি করা হচ্ছে। বৃন্দাবনের আসল প্রেম মন্দির ২০০১ সালে তৈরি শুরু হয়েছিল। ২০১২ সালে মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচ হয়।
মূলত ইটালিয়ান মার্বেল ব্যবহৃত হয় ওই স্থাপত্যে। উচ্চতা ১২৫ ফুট, দৈর্ঘ্য ১৯০ ফুট, প্রস্থ ১২৮ ফুট। প্রধান দেবতা সেখানে রাধা–কৃষ্ণ। আলিপুরদুয়ারে দুর্গাপুজার মণ্ডপেও রাধা–কৃষ্ণ থাকছে। বৃন্দাবনের মন্দিরেও রাতের আলোর খেলা চলে। নির্দিষ্ট নিয়মেই আলোর ব্যবহারে রং বদলে যায় মন্দিরের। একই রকম দৃশ্য দেখা যাবে যুবসংঘ কালীবাড়ি ময়দানে।