কোরিয়ান মার্বেলের দুর্গা মূর্তি, মুর্শিদাবাদ থেকে পাড়ি দিচ্ছে আরব সাগরের পাড়ে

মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে আরব সাগরের তীরে মুম্বইয়ে পাড়ি দিতে চলেছে কোরিয়ান মার্বেলের তৈরি শ্বেত শুভ্র দুর্গা মূর্তি। এক সময় হাতির দাঁতের ওপর সূক্ষ্ম কারুকাজ করে বিভিন্ন মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন মুর্শিদাবাদের শিল্পীরা।

Durga idol Made by Korean marble is going to Mumbai from Murshidabad

আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে আরব সাগরের তীরে মুম্বইয়ে পাড়ি দিতে চলেছে কোরিয়ান মার্বেলের তৈরি শ্বেত শুভ্র দুর্গা মূর্তি। এক সময় হাতির দাঁতের ওপর সূক্ষ্ম কারুকাজ করে বিভিন্ন মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন মুর্শিদাবাদের শিল্পীরা। ঠাপি, গিরদি, চোরশে এইসব যন্ত্র দিয়ে নিপুণ হাতে হাতির দাঁতের ওপর বিভিন্ন কারুকার্য ফুটিয়ে তুলতেন তারা। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও সমাদৃত হয়েছিল হাতির দাঁতের এই কাজ।

 

 

১৯৯২ সালের পর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে লাগু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় এই শিল্প। কর্মহীন হয়ে পড়েন শতাধিক শিল্পী। কিন্তু এখন হাতির দাঁতের বিকল্প হিসাবে শিল্পীদের হাতে চলে এসেছে কোরিয়ান মার্বেল নামক এক অত্যাধুনিক উপাদান। যাকে দেখতে একেবারেই হাতির দাঁতের মত এবং তার ওপরে শিল্প কাজ করাও সম্ভব। এই কোরিয়ান মার্বেলের ওপরেই আট ফুট উচ্চতার দুর্গা মূর্তি তৈরি করে রাজ্যবাসীকে তাক লাগিয়ে দিলেন বহরমপুরের খাগড়ার বাসিন্দা সৌরিন ভাস্কর। 

 

 

তার তৈরি এই দুর্গা মূর্তি এবার পাড়ি দিচ্ছে কলকাতা হয়ে সুদূর মুম্বইতে। শিল্পী জানিয়েছেন, ‘বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে হাতির দাঁতের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা বিকল্প উপাদানের সন্ধানে ছিলাম। অবশেষে আমাদের হাতে এসে পৌঁছয় এই কোরিয়ান মার্বেল। হাতির দাঁতের মতই দেখতে এবং এর বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে না। এবার এই কোরিয়ান মার্বেল দিয়েই আমরা দুর্গা মূর্তি তৈরি করছি। আমাদের দলে ১২ জন শিল্পী রয়েছেন। গত ছ’মাস ধরে এই আট ফুট উচ্চতার মূর্তি তৈরি করেছি। এই মূর্তি সম্পূর্ণ লাইফটাইম প্রোডাক্ট’। নবাবি আমলে মুর্শিদাবাদের হাতির দাঁতের যে কুটিরশিল্প গড়ে উঠেছিল, তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবার শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এই কোরিয়ান মার্বেল।এক কথায় একথা স্বীকার করে নিয়েছেন শিল্পীরাও।