পুজো শুরু হয়েছিল নরবলি দিয়ে, ৫১৫ বছরে রাজপরিবারের দুর্গা পুজোয় কী নিয়ম জানেন?
Durga Puja: এই পুজো শুরু হয়েছিল নরবলি দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রথা এখন নেই। এখন চালের গুঁড়ো দিয়ে মানুষের আকৃতি তৈরি করে কুশ দিয়ে নিবেদন করা হয়।'
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহালয়ার পুণ্যলগ্নে ঐতিহ্যবাহী জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে সম্পন্ন হোক দেবী প্রতিমার চক্ষুদান। রাজপরিবারের প্রাচীন এই দুর্গা পুজো এ বছর ৫১৫ বছরে পদার্পণ করছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছরই মহালয়ার দিনই দেবী প্রতিমার চক্ষু দান করা হয়।
মহালয়া এসে গেলেন, পুজো একেবারে দরজায়। পুজোকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব প্রায় সর্বত্র। এই সময় উৎসাহ উদ্দীপনাও সকলের মধ্যে তুঙ্গে।
রাজবাড়ির পাঁচ শতাধিক বছরের প্রাচীন পুজাকে ঘিরে আজও বহু মানুষের আবগ জড়িয়ে রয়েছে। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে যেমন ভক্তদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো, তেমনই বিসর্জনের দিনও রাজবাড়ি চত্বরে উপচে পড়ে ভিড়। তখন মহিলাদের সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে এক অনন্য পরিবেশের সৃষ্টি হয় এখানে।
পুজো প্রসঙ্গে রাজপরিবারের সদস্য প্রনত বসু জানান, 'আজ সকালে তর্পনের পর মায়ের চক্ষুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পুজো শুরু হয়েছিল নরবলি দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রথা এখন নেই। এখন চালের গুঁড়ো দিয়ে মানুষের আকৃতি তৈরি করে মায়ের কাছে কুশ দিয়ে নিবেদন করা হয়।' পুজোর দিনগুলোতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় বলে তিনি জানান। রাজ পরিবারের পুত্রবধু লীন্ডা বসু বলেন, 'আজ থেকেই পুজোর সূচনা শুরু হয়ে গেল। সঙ্গে ব্যস্ততা রয়েছে। তাছাড়া মনে তো পুজো নিয়ে আনন্দ রয়েইছে।' রাজপরিবারের পুরোহিত শিবু ঘোষাল বলেন, 'বাৎসরিক দুর্গা প্রতিমার পাশাপাশি নিত্য পুজিতা দুর্গারও আজ চক্ষুদান সম্পন্ন হল। আজ মহালয়ার এই পুণ্য তিথিতে প্রতিবারের ন্যায় এই কাজ সম্পন্ন হল অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গেই।' নিয়ম অনুযায়ী আজ রাতে কালীপুজোও হবে বলে তিনি জানান।