প্রতিবছর এক হাত বাড়ানো হয় উচ্চতা, এবছর এই কালী প্রতিমার উচ্চতা ৪২ ফুট
Pujo : গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে এই পূজা পরিচিত বুলবুলচন্ডী কালীপূজা (bulbulchandi Kali Puja)। জায়গাটা মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীতে। এই পূজায় পূজিতা কালী প্রতিমার উচ্চতা ৪২ ফুট। দেবীর এই বিশাল উচ্চতার জন্য মালদা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গেই এর একটা আলাদা পরিচিতি আছে। এত বড় প্রতিমা দেখতেই জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজির হন দর্শনার্থীরা।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে এই পূজা পরিচিত বুলবুলচন্ডী কালীপূজা (bulbulchandi Kali Puja)। জায়গাটা মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীতে। এই পূজায় পূজিতা কালী প্রতিমার উচ্চতা ৪২ ফুট। দেবীর এই বিশাল উচ্চতার জন্য মালদা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গেই এর একটা আলাদা পরিচিতি আছে। এত বড় প্রতিমা দেখতেই জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজির হন দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একবার বুলবুলচন্ডীর পাঁচ যুবক মিলে ঠিক করেন কালীপূজা করবেন। সেইমতো প্রতিমা এনে তাঁরা দক্ষিণাকালী'র পূজার সূচনা করেন। কিন্তু পূজা শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয় প্রতি বছর প্রতিমার উচ্চতা এক ফুট করে বাড়ানো হবে। এরপর থেকেই বাড়ানো হচ্ছে উচ্চতা। সেই উচ্চতাই এবছর দাঁড়িয়েছে ৪২ ফুটে। বিরাট উচ্চতার প্রতিমার জন্য এই পূজা এতটাই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে পূজা উপলক্ষে ১৩ দিন ধরে ওই এলাকায় এক বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়। যে মেলায় মালদা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিক্রেতারা এসে পসরা সাজিয়ে বসেন।
পূজা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিমা তৈরি করতে লাগে প্রায় ২০০টি বাঁশ। সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রতিমার মতোই তৈরি করতে লাগে খড়, পেরেক, সুতলি ও মাটি। মণ্ডপ সাজানো হয় আলোকসজ্জায়। পূজার পর প্রতিমাকে মণ্ডপে ১৩ দিন রাখা হয়। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।