হাতে মাত্র কয়েকটা দিন, আলোয় সেজে ওঠার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চন্দননগরে
সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো। তার আগে সেজে উঠেছে গোটা শহর। একই ভাবে সেজে উঠছে ফরাসডাঙা।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো। তার আগে সেজে উঠেছে গোটা শহর। একই ভাবে সেজে উঠছে ফরাসডাঙা। চন্দননগর পুর নিগমের উদ্যোগে শুরু হয়েছে মেগা ফেস্টিভ্যালের প্রস্তুতি। হাতে আর মাত্র কয়েক দিন, দেবী হৈমন্তীকার আরাধনার জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুত হতে শুরু করেছে আলোর শহর। এই উৎসবের অপেক্ষায় রয়েছেন শুধু চন্দননগর বা জেলা হুগলি নয়, গোটা রাজ্যের মানুষ। পুজোর আগে চরম ব্যস্ততা চলছে সর্বত্র।
পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি আলোক শিল্পীদেরও দম ফেলার অবকাশ নেই। মণ্ডপে প্রতিমার পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক আলোর চমক। চন্দননগরের জজগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম ঐতিহ্য হল প্রতিমা, যা সাধারণত পটুয়া পাড়া থেকে আনা হয় না। বরাবরই এই পুজোর প্রতিমা তৈরি হয় মণ্ডপের ভিতরে। মৃৎশিল্পীরা নিজেদের গোলা ছেড়ে মণ্ডপে এসে প্রতিমা তৈরি করে থাকেন।
বর্তমানে জোর কদমে চলছে সুবিশাল আকাশ ছোঁয়া প্রতিমার তৈরির কাজ। অধিকাংশ প্রতিমার ক্ষেত্রে খড় বেঁধে মাটি লাগানোর কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের মতে, জগদ্ধাত্রী প্রতিমার উচ্চতা এবং আকারের কারণে বাইরে থেকে ঠাকুর নিয়ে মণ্ডপের মধ্যে প্রবেশ করানো কার্যত অসম্ভব। তাই মণ্ডপের ভিতরেই প্রতিমা তৈরির কাজ হয়। আর কয়েকদিন বাদেই পুজো। তার আগে প্রস্তুতিতে মজে গোটা চন্দননগর।
ছবি: পার্থ রাহা