পুজোয় ব্যবহৃত সবই নিলাম হল, অনলাইনে পূজা দেওয়া যায় পান্ডুয়ার হ্যাঁপা কালীর

Hoogly : সারা বছর মন্দিরের পূজা থেকে শুরু করে নানান কাজকর্মের খরচ তুলতে অভিনব নিলাম। চাঁদা তোলা হবেনা। দীর্ঘ সময় ধরে পান্ডুয়ায় চলে আসছে এই প্রক্রিয়া। কালী পুজোর পরের দিন বেলুন গ্রামে হ্যাঁপা কালী পুজোয় হয়ে থাকে এই অভিনব নিলামের ব্যবস্থা। শাড়ি গামছা থেকে ধূপ গঙ্গাজল, আলতা সিঁদুর, ফল-মূল থেকে মিষ্টান্ন পুজোয় দেওয়া সব সামগ্রী নিলাম হয়।

Online kali puja on hoogly

মিল্টন সেন,হুগলি : সারা বছর মন্দিরের পূজা থেকে শুরু করে নানান কাজকর্মের খরচ তুলতে অভিনব নিলাম। চাঁদা তোলা হবেনা। দীর্ঘ সময় ধরে পান্ডুয়ায় চলে আসছে এই প্রক্রিয়া। কালী পুজোর পরের দিন বেলুন গ্রামে হ্যাঁপা কালী পুজোয় হয়ে থাকে এই অভিনব নিলামের ব্যবস্থা।

শাড়ি গামছা থেকে ধূপ গঙ্গাজল, আলতা সিঁদুর, ফল-মূল থেকে মিষ্টান্ন পুজোয় দেওয়া সব সামগ্রী নিলাম হয়। দাম ওঠে একশো টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। আর সেই নিলামের টাকায় সারা বছর নানা অনুষ্ঠান পুজো হয়। বছর বছর ধরে পান্ডুয়ার বেলুন গ্রামে হ্যাঁপা কালীর পুজো হয়ে আসছে এভাবেই। কোনও চাঁদা কাটা হয়না। পুজো সামগ্রী নিলাম করা হয় কালী পুজোর পরদিন।

 মা কালী প্রতিষ্ঠা করতে অনেক হ্যাঁপা পোহাতে হয়েছিল, তাই এই পুজোর নাম হয়েছে হ্যাঁপা কালী। পান্ডুয়ার বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুন গ্রামে। প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজোতে আজও প্রাচীন সেই রীতি অব্যাহত। চলে আসছে নিলাম প্রথা।তান্ত্রিক মতে হয় দেবীর পুজো। ছাগ বলি হয় পুজোর রাতে।

 কথিত আছে, স্থানীয় এলাকার বাগদিপাড়ার কয়েকজন ডাকাত এই পুজোর সূচনা করে ছিলেন। মা কালীর পুজো দিয়ে সেই ডাকাত দল ডাকাতি করতে যেতেন। প্রাচীন এই পুজোয় ব্যবহৃত গঙ্গাজল থেকে বলি হওয়া পাঁঠার মাথা সবই নিলাম হয় পুজোর পরের দিন। নিলামে  প্রসাদ নিতে ভিড় জমায় পার্শ্ববর্তী দশ বারোটি গ্রামের মানুষ। নিলাম থেকে আয় হওয়া অর্থ কাজে লাগানো হয় পুজোতে, এমনটাই জানালেন বেলুন হেপাকালি বারোয়ারির সম্পাদক সুদীপ ঘোষ।

 এক সময় পাতার ছাউনির ঘর ছিল বর্তমানে পাথর বসানো মন্দির হয়েছে। হ্যাঁপা কালী পুজো এখন অনলাইনেও দেওয়া যায়। ভক্তরা পুজো যা কিছু দেন সবই নিলামে ওঠে।যে বেশি দাম দেয় সামগ্রী তার। হ্যাঁপা কালী তলার নিলামে কেনা জিনিস থেকে পূন্য লাভ হয়, এমনই বিশ্বাস আজও মানুষ মনে। তাই একটু বেশি দামে হলেও পুজোর জিনিসপত্র কিনে নিতে দ্বিধা করেন না গ্রামবাসীরা।