'ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বাড়ির লোকের ভয়ে প্রেমিককে দাদা বানিয়েছিলাম,' প্রথম পুজোর প্রেম ফিরে দেখলেন তৃণা সাহা
Trina Saha: পুজোর ক'দিন কলকাতায় নয়, বরং বাইরে ছুটি কাটাতে যাবেন অভিনেত্রী।

পুজোর আমেজে নস্টালজিয়ায় ভাসেন বাঙালি। বাদ যান না অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। ঢাকে কাঠি পড়তেই তাই ছোটবেলার পুজো ফিরে দেখলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। দর্শক এই মুহূর্তে তাঁকে দেখছেন স্টার জলসার ধারাবাহিক 'পরশুরাম'-এ। প্রতি সপ্তাহেই প্রথম স্থান দখলে থাকে এই মেগার। তাই শুটিংয়ের চাপে ভীষণ ব্যস্ত অভিনেত্রী। সেই কারণে ঠিক করেছেন, পুজোর ক'দিন কলকাতায় নয়, বরং বাইরে ছুটি কাটাতে যাবেন।
এবছর পুজোয় প্রথমবার কলকাতার বাইরে থাকবেন তৃণা? আজকাল ডট ইন-কে অভিনেত্রী বলেন, "ইচ্ছে আছে পুজোরর ছুটিতে একটু বেড়াতে যাওয়ার। এই প্রথমবার পুজোয় কলকাতার বাইরে থাকব। আসলে ধারাবাহিকের শুটিংয়ের এত চাপ যে পর পর চার-পাঁচদিন ছুটি পাওয়াটা খুব মুশকিল। আর একটানা এতদিন কাজ করেছি সকাল-বিকেল, এবার ছুটি নেওয়াটা আমার জন্য খুব প্রয়োজন।"
তৃণার কথায়, "আসলে পুজোয় কলকাতার একটা আলাদা আমেজ আছে। তাই শহর ছেড়ে যেতে মন কেমন করে। সারা বছর কেনাকাটা করলেও স্পেশালি পুজোর জন্য কিছু কিনতে মন চায়। আমার নিজস্ব ব্র্যান্ড আছে, তাই সেখান থেকে কিছু ভাল লাগলে নিয়ে নিই বা তৈরি করে নিই। এবার সেজেগুজে ঠাকুর দেখাটা খুব মিস করব।"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "প্রতি পুজোয় ছোটবেলাটা খুব মিস করি। আমি তো জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। ভাই-বোনদের মাঝে বেড়ে ওঠার মজাই আলাদা। পুজোর সময় কখনও আমার বাড়ি, কখনও মাসির বাড়িতে আড্ডা হত আমাদের। পুজোর পাঁচদিন রাত করে বাড়ি ফেরা, বাইরের খাবার খাওয়া সবেতে ছাড় ছিল। তখন যেন মনে হত হাতির পাঁচ পা দেখেছি।"
তৃণা বলেন, "আর পুজোর প্রেম! তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। সেই সময় প্রেম মানে এত খোলামেলা ছিল না বিষয়টা। হাত ধরা তো কোন ছাড়, একটু ছোঁয়া লাগলেই শিহরণ জাগত। চোখে চোখ পড়তেই লাজুক হাসি ছিল। মুখ ফুটে কিছু না বলেও প্রেম হত তখন। আমার ফ্যামিলি ফ্রেন্ড ছিল সে। নামটা এখন বলতে পারব না যদিও। পুজোয় প্রেম প্রেম ভাবটা তখন ওকে দেখে এসেছিল। পুজোয় ভাই-বোনরা একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ওকে দাদার পরিচয় দিয়েছিলাম বড়দের কাছে। এখন সেসব কথা মনে পড়লে হাসি পায়।"