মহালয়ার ভোরে ব্রিটেন এফএম-এ মহিষাসুরমর্দিনী, রেডিও শুনে ঘুম ভাঙল বিলেতের বাঙালির
Mahalaya: ভোর চারটায় বিলেতে বসে বাঙালি শুনলেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনী।
তমালিকা বসু, লন্ডন: বাঙালি সেখানেই থাকুন, এই মহালয়ার আগের রাতে ঘুম আসে না তাঁদের। সকলের অপেক্ষা থাকে ভোরের। সকাল হওয়ার আগেই, কখন বেজে উঠবে সেই চেনা সুর। সূচনা হবে দেবীপক্ষের, শুরু হবে পুজোর আমেজ।
যাঁরা পুজোর আগের এই সময়েও বাড়ি থেকে দূরে, তাঁরা? তাঁরাও অপেক্ষা করেন। কিন্তু বাইরের এফএম-এ কি কলকাতা বা শহরতলির মতো শোনা যাবে মহিষাসুরমর্দিনী?
এবার সেই আফসোস রইল না ব্রিটেনে। রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী শুনে মহালয়ার ভোরে ঘুম ভাঙল বিলেতের বাঙালির। এই প্রথম ব্রিটেনের কোনও রেডিওতে ভোর চারটার সময় এটি সম্প্রচারিত হল।
পিসিআর এফএম, পিটারবোরো সিটি রেডিও, ১০৩.২ এফএম-এ শোনা গেল তা। পিটারবোরো বেঙ্গলি সংস্কৃতির উদ্যোগে মহিষাসুরমর্দিনী সম্প্রচারিত হয়। যা লন্ডন, গ্রেটার লন্ডন সব জায়গা থেকেই শুনতে পেয়েছেন রাত জেগে থাকা বাঙালি।
কীভাবে শুনলেন? রেডিওর ডিভাইস ছাড়াও স্মার্ট ডিভাইস যেমন অ্যালেক্সা, সিরিতেও শোনা গিয়েছে। গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যাতে স্থানীয় এফএম চ্যানেল থেকে ভোর চারটার সময় শোনানো যায় মহিষাসুরমর্দিনী। কিন্তু তা সম্পন্ন হয়নি। সম্প্রচারের সব ঠিক থাকলেও, শেষ মুহূর্তে সম্ভবত তারিখ-বিভ্রাট হয়। যার ফলে ভোর চারটায় সম্প্রচার সম্ভব হয়নি।
তবে এবার সফল উদ্যোগ। ভোর চারটায় বিলেতে বসে বাঙালি শুনলেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনী। তথ্য বলছে এদিন ভোর ৪-৫টার মধ্যে প্রায় চার হাজার মানুষ শুনেছেন মহিষাসুরমর্দিনী।
বহু বাঙালি আজ ভোর চারটার সময় উঠে শুনেছি। এ যেন বিলেতে বসে আমাদের ছোটবেলা ফিরে পাওয়া, এ যেন কলকাতার নস্টালজিয়া। শুধু আমাদের মনে নস্টালজিয়ার ছোঁয়া দিল এই উদ্যোগ তাই নয়, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শোনানো, জানানো মহিষাসুরমর্দিনী সম্পর্কে।