স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজোর শুরু, ওপার বাংলার নিয়ম মেনেই এপারে ৩৫৬ বছরে পালচৌধুরিদের পুজো
Durga Puja: ওপার বাংলায় শুরু হয়েছিল যে পুজো, দেশ ভাগের পর ভৌগলিক স্থান বদল ঘটলেও, রীতিনীতি, নিয়ম কানুন এক রেখে চলছে সেই পুজো।
রিয়া পাত্র
ওপার বাংলায় শুরু হয়েছিল যে পুজো, দেশ ভাগের পর ভৌগলিক স্থান বদল ঘটলেও, রীতিনীতি, নিয়ম কানুন এক রেখে চলছে সেই পুজো। দেখতে দেখতে এবছর পুজোর বয়স ৩৫৬।
এই পুজো নিয়ে জানতে গেলেই উঠে আসে ওপার বাংলা, এপার বাংলা। দেশভাগের কথা। উঠে আসে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরুর কথা। ওপার বাংলাতেই পুজো শুরু করেছিল ভোজেশ্বর পালচৌধুরির পরিবার। এই পুজো শুরুর পিছনের গল্প জানা যায় পরিবারের সদস্যদের থেকেই। শোনা যায়, বন্দরের কাজ সেরে ফেরার পথে তাঁদের কাছে সাহায্য চান এই রমণী। রাতে স্বপ্নে জানতে পারেন, তিনি ছিলেন স্বয়ং দুর্গা। সেই স্বপ্ন, পুজো শুরুর আদেশ বংশ পরম্পরায় শুনে শিহরিত হন পরিবারের সদস্যরা। স্বপ্নে ঠিক যেভাবে দেখেছিলেন দুর্গাকে, পুজো হয় সেভাবেই। ফলে বদল রয়েছে তাঁদের লক্ষ্মী গণেশ, সরস্বতী, কার্তিকের অবস্থানে।
৩৫০ বছর পেরিয়ে পুজো একইভাবে পরিচালনা করা সহজ বিষয় নয়। সদস্যরা জানালেন, এখন পালচৌধুরি পরিবারের পুজোর দেখভালের জন্য রয়েছে ট্রাস্টি বোর্ড। শরিকদের বাড়িতে নিয়ম করে হয় পুজো। কখনও শরিকদের বাড়িতে পুজো হয় ৪ বছর পর, কখনও আবার দেবী আসেন ১৬ বছর পেরিয়ে। ওপার বাংলার মতোই, এপারেও শরিকদের পুবেরদ্বার, পশ্চিমেরদ্বার, উত্তরেরদ্বার, দক্ষিণেরদ্বার হিসেবে ভাগ করা হয়।
এত বছরের পুরনো পুজো, দেবী পালচৌধুরি বাড়িতে সাজেন কীভাবে? সৌম্য পালচৌধুরি জানান, রয়েছে প্রতিমার বিশেষ নথ। পুজোর চারদিনে, একেকদিন, এক একরকম ভোগের আয়োজন করা হয়। বাড়ির মহিলারা বানান নাড়ু-মোয়া। নিয়ম আছে, পুজোয় দেওয়া সব ভোগ হবে শুকনো। পুজোয় নেই কোনও বলিদান প্রথা। নবমীর দিন পাতে পড়ে ইলিশ। তবে পালচৌধুরি বাড়ির নিয়ম মেনে, দশমীর পর আর সে বাড়িতে ইলিশ ঢোকে না। দশমীতে খাওয়া হয় পুটিমাছ।
এবার পুজো হচ্ছে বাঙ্গুর এ্যাভিনিউর শরিকদের বাড়িতে।