চলছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের নির্দেশে শুরু হওয়া দুর্গাপুজোর ভাসান পর্ব

কলকাতার তৃতীয় পুরাতন সর্বজনীন দুর্গাপুজো হল খিদিরপুর সর্বজনীন। এবছর ৯৮ তম বছরে পা দিল ঐতিহ্যবাহী এই পুজো। বরণ শেষে, পাড়ার মহিলারা লক্ষ্মীর ঘট নিয়ে যান, এবং সেখানেই আগামী বছরের জন্য পয়সা জমানো শুরু করেন। প্রতিবছর সাধ্য মত দৈনন্দিন খরচ থেকে বাঁচিয়ে জমানো টাকা পুজোর আগে তাঁরা তুলে দেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে।

Sindoor khela at the Durga Puja in Khidderpore, which once started under the guidance of Netaji Subhas Chandra Bose

তীর্থঙ্কর দাস: কলকাতার তৃতীয় পুরাতন সর্বজনীন দুর্গাপুজো হল খিদিরপুর সর্বজনীন। এবছর ৯৮ তম বছরে পা দিল ঐতিহ্যবাহী এই পুজো। তিথি মেনে শনিবারই হয়ে গিয়েছে ঘট ও নবপত্রিকা বিসর্জন। রবিবার সন্ধ্যায় মায়ের বরণ এবং সিঁদুরখেলার মধ্যে দিয়ে হয়ে গেল দেবীর বিসর্জন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের নির্দেশে, বারিন ঘোষের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো। এদিন সিঁদুর খেলতে ভিড় জমান খিদিরপুরের অধিকাংশ বাসিন্দারাই। 


বরণ শেষে, পাড়ার মহিলারা লক্ষ্মীর ঘট নিয়ে যান, এবং সেখানেই আগামী বছরের জন্য পয়সা জমানো শুরু করেন। প্রতিবছর সাধ্য মত দৈনন্দিন খরচ থেকে বাঁচিয়ে জমানো টাকা পুজোর আগে তাঁরা তুলে দেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে। 

বহু বছর ধরে এই একই প্রথা চলে আসছে খিদিরপুরে। কথায় আছে এই নিয়ম শুরু হয় 'জরুরি সময়কালে'। সিঁদুর খেলার পর লক্ষীর ভাঁড় দেওয়ার রীতি বহুকাল পুরোনো। জরুরি সময় কালে, এই লক্ষ্মীর ভাঁড়ের টাকার ওপর ভিত্তি করেই, পুজোর সব খরচ সামলেছিলেন তৎকালীন পুজো উদ্যোক্তারা। 

অতীতের শুরু হওয়া সেই রীতি আজও ধরে রেখেছেন বর্তমান পুজো উদ্যোক্তারাও। কলকাতার পুজো যেখানে এখন কর্পোরেট অর্থ নির্ভর, তাঁর মাঝে এই পুজোয় এখনো ঠাকুরের পুজোর খরচ, ভোগ, মালা, নৈবদ্য, দশকর্মার খরচ উঠে আসে এই লক্ষী ভাঁড়ের সঞ্চয় থেকেই। শেষবেলায় বিষাদের সুর নিয়ে আগামী বছর পুজোর সূচনা হয়ে গেল আজকেই।