৩০ ফুটের দুর্গাপ্রতিমার উন্মোচন করল হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব, ৮৩তম বছরের থিম ‘দৃষ্টিকোণ’
Durga Puja 2025: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব এই বছর তাদের ৮৩তম পুজোর আয়োজন করেছে। ২০২৫ সালের থিম ‘দৃষ্টিকোণ’।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব এই বছর তাদের ৮৩তম পুজোর আয়োজন করেছে। ২০২৫ সালের থিম ‘দৃষ্টিকোণ’। এই বছরের প্যান্ডেলে কলকাতার সবচেয়ে উঁচু ৩০ ফুট উঁচু দুর্গা প্রতিমা প্রদর্শিত হচ্ছে। যা ঐতিহ্য, কল্পনা এবং শৈল্পিক প্রতিভার সুন্দর মিশ্রণ ঘটিয়েছে।
পুজোর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে অন্যতম কলকতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়ন দেব চ্যাটার্জি এবং অন্যন্য বিশিষ্টরা।
এই বছরের থিম ‘দৃষ্টিকোণ’ বিখ্যাত শিল্পী বিমান সাহার ধারণায় তৈরি। রং যে কেবল দৃষ্টিসুখের চেয়েও বেশি কিছু, তা অন্বেষণ করা হয়েছে। রং আত্মপ্রকাশের একটি গভীর ভাষা হিসেবে উদযাপিত হয়। প্যান্ডেল এবং মূর্তি এই ধারণাটিকেই জীবন্ত করে তুলেছে যে প্রতিটি রঙ একটি গল্প বলে, যা মানুষের চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং দর্শনের ছবি প্রকাশ করে। রঙের একটি অত্যাশ্চর্য প্যালেটে সজ্জিত দেবী দুর্গার বিশাল ৩০ ফুট মূর্তি এই দৃষ্টিভঙ্গির এক দুর্দান্ত প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়ন দেব চ্যাটার্জি বলেন, “রং কেবল পৃথিবীর অলঙ্কার নয়- এটি তার হৃদস্পন্দন। প্রতিটি রঙই একটি আবেগ বহন করে: ভালোবাসার উষ্ণতা, প্রতিবাদের আগুন, দৃঢ় বিশ্বাসের সাহস, আশার আলো। রং জীবনের হৃদস্পন্দন। ‘দৃষ্টিকোণ’-এর মাধ্যমে, আমরা চাই মানুষ সীমার বাইরেও তাকিয়ে দেখুক। তাঁরা দেখতে পাবেন রং কীভাবে কেবল দেবীর রূপকেই নয়, আমাদের চিন্তাভাবনার ধরণকেও আদল দেয়। প্রতিটি রং একটি গল্প বলে এবং এই বছর সকলকে সেই গল্পের অংশ হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। জাঁকজমকের সঙ্গে কলকাতার সর্বোচ্চ ৩০ ফুট দুর্গা মূর্তি আমাদের প্যান্ডেলে শোভা পাবে, যা দর্শনার্থীদের একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এবং একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।” তিনি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে পুজোয় আসার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানান।
‘হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব ২০২৫’-এর পুজোমণ্ডপ বৃহস্পতিবার থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনের এক অবিস্মরণীয় মিশ্রণ প্রদান করবে এই পুজোমণ্ডপ। যেখানে প্রতিটি রং জীবনকে উদযাপন করে এবং প্রতিটি গল্প দেখার একটি নতুন উপায়কে অনুপ্রাণিত করে।