এখন আর পুজো নিয়ে আলাদা করে পরিকল্পনা নেই, ছেলেমেয়েরা আনন্দ করলেই খুশি: শতাব্দী
Satabdi Roy: বর্তমানে পুজো নিয়ে উন্মাদনায় খানিক ভাটা পড়লেও শৈশবের স্মৃতি আজও অমলিন শতাব্দীর। নতুন জামার গন্ধ, মণ্ডপে-মণ্ডপে ঘোরা, এসবই এখন নিছক নস্টালজিয়া।

শতাব্দী রায়। একাধারে অভিনেত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দুই মেরুর দুই কাজ দক্ষ হাতে সামলান। তবে রোজকার রুটিন থেকে এক প্রকার বাদ দিয়ে দিতে হয়েছে ‘অবসর’ নামক শব্দটি। কখনও শুটিং সেট, কখনও আবার রাজনীতির কাজ, রানারের মতো ছুটেই চলেছেন তিনি। ব্যস্ততাকে ঘিরেই আবর্তীত যাঁর জীবন, পুজোর চারটে দিন কী ভাবে কাটে তাঁর? খোঁজ নিল আজকাল ডট ইন।
আপাতত বীরভূমে রয়েছেন শতাব্দী। সেখানে বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি। তারপর কিছুটা নিজের জন্য সময়। তাঁর কথায়, “পুজোয় একটা দিন আমার বন্ধুর বাড়িতে নেমন্তন্ন থাকে। সেখানে যাই। খাওয়াদাওয়া করি। ওই দিনটা খুব সুন্দর ভাবে কাটাই। আর তখনই কিছু ভাল ভাল মণ্ডপও ঘুরে নিই।”
বর্তমানে পুজো নিয়ে উন্মাদনায় খানিক ভাটা পড়লেও শৈশবের স্মৃতি আজও অমলিন শতাব্দীর। নতুন জামার গন্ধ, মণ্ডপে-মণ্ডপে ঘোরা, এসবই এখন নিছক নস্টালজিয়া। স্মৃতির পাতা উল্টে শতাব্দী বলেন, “এখন আর আমার আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা থাকে না। ছেলেমেয়েরা আনন্দ করলেই আমি খুশি। ছোটবেলার পুজোটা ছিল একদম অন্য রকম। প্রচণ্ড উন্মাদনা কাজ করত সেই সময়। নতুন জামা কেনা, ঠাকুর দেখতে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতাম।”
পুজোয় কি এখনও কেনাকাটা করেন শতাব্দী? হেসে উত্তর, “না, এখন তো সারা বছর ধরেই কেনাকাটা চলে। এমনকি বাচ্চাদেরও তা-ই। ফলে পুজোয় আলাদা করে কেনাকাটা করা হয় না আর। ছোটবেলায় নতুন জামাকাপড় হলে বা়ড়িতে যারাই আসত তাদের দেখাতাম। এভাবেই ওগুলো পরার আগে পুরনো হয়ে যেত।”
এক সময় মা-বাবার সঙ্গে একডালিয়ায় থাকতেন শতাব্দী। তখন বয়স অনেকটাই কম। নস্টালজিয়া ছুঁয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ বলেন, “তখন একডালিয়ার মণ্ডপে বসে পুজো দেখেই দিন কেটে যেত। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করতাম। ঠাকুরও দেখতে যেতাম মা-বাবার সঙ্গে।”
সারা বছর কাজের জন্য শরীর সুস্থ রাখতে হয়। ফলে খাওয়াদাওয়ার দিকেও দিতে হয় বিশেষ নজর। ইচ্ছামতো সব খাবার তুলে নেওয়া যায় না পাতে। বাঁধা পড়তে হয় ডায়েটের কড়া শাসনে। পুজোর কয়েকটাদিন যদিও সে সবের তোয়াক্কা করেন না শতাব্দী। ভালমন্দ দিয়ে চলে পেটপুজো। তিনি বললেন, “পুজোর সময় এত নিয়ম মেনে চলা হয় না। বাইরে ইচ্ছামতো খাওয়াদাওয়া করি। রাস্তার খাবারও খাই। ঠিক যেমনটা আগে করতাম।”