দুর্গা যাবে ঘরে ঘরে, বয়স্কদের জন্য অভিনব পরিকল্পনা পুরমাতা অনন্যা ব্যানার্জির

আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়সের ভারে ন্যুব্জ। ইচ্ছা থাকলেও প্রতিমা দর্শনের উপায় নেই। তাই প্রতি বছর পুজো কেটে যায় ঘরের জানালা দিয়ে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ শুনে বা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখে। বলতে গেলে দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাতে হয় তাঁদের। আর তাঁদের কথা ভেবেই কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা অনন্যা ব্যানার্জি এবছর অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন।
উদ্যোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনন্যা ব্যানার্জির প্রতিনিধি আকাশ বেরা বলেন, 'পুজো তখনই সার্থক হয় যখন সেখানে সকলেই যোগদান করেন। অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন যারা ইচ্ছা থাকলেও শারীরিক সামর্থ্যের অভাবে পুজোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সন্তান বা পরিজনরা কাছে না থাকায় তাঁদের মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ারও কেউ থাকে না। তাঁদের সবার কথা ভেবে এবছর আমাদের পুরমাতা এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে দুর্গা পৌঁছে যাবেন এই অশক্ত ও বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের কাছে। তাঁরাও প্রাণভরে দর্শন করবেন প্রতিমা। সাধ্যমতো যোগ দেবেন আনন্দের এই মহাযজ্ঞে।'
অনন্যা ব্যানার্জির এই পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে আকাশ বলেন, একটি গাড়িতে বসানো হবে প্রতিমাকে। এরপর পঞ্চমী থেকে শুরু করে পুজোর প্রতিটি দিন এই ওয়ার্ডের এক একটি আবাসনে করা হবে পুজো। আবার সন্ধ্যার যে আরতি করা হয় সেই আরতি করা হবে প্রতিদিন আলাদা আলাদা আবাসনে। যাতে পুজোয় প্রতিটি দিন আবাসনের বৃদ্ধ, বৃদ্ধা বা বিশেষভাবে সক্ষম যারা আছেন তাঁরা সকলেই এই পুজোয় যোগ দিতে পারেন। প্রতিদিন দুর্গাকে নিয়ে গাড়ি যাবে ভিন্ন ভিন্ন আবাসনে। দাঁড়িয়ে থাকবে আবাসনের এমন একটি জায়গায় যেখানে সকলেই সমবেত হতে পারেন। দশমীর দিনও এইভাবেই প্রতিমাকে নিয়ে গাড়ি পৌঁছে যাবে আবাসনে।'
এর পাশাপাশি আরও একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন অনন্যা। যদিও সেটা নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপরে। আকাশ জানিয়েছেন, দশমীর দিন রাবণ বধের মতো পরিকল্পনা রয়েছে বিভিন্ন ব্যাধি রূপী অসুর বধের। সেটাও এই অশক্ত বৃদ্ধ বা বৃদ্ধারা করবেন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপরে।