কালী পুজোর রাতে লক্ষ্মীর সঙ্গে কেন থাকেন অলক্ষ্মী? জানুন এই পুজোর ইতিহাস ও মাহাত্ম্য 

দীপান্বিতা অমাবস্যায় বহু বাড়িতেই  সন্ধেবেলায় দেবী অলক্ষ্মীর পুজো করা হয়।কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর সময় যখন দেবী লক্ষ্মী আসেন, সঙ্গে আসেন দেবী অলক্ষীও।তবে প্রশ্ন হলো কে এই দেবী অলক্ষী? দেবী লক্ষ্মীর দিদি হলেন অলক্ষ্মী।কালী পুজোর দিন সব অশুভকে নাশ করে শুভ শক্তির আগমন করার সঙ্গেই এই অলক্ষ্মীকেও পুজো করে গৃহস্থ থেকে বিদায় জানানোই রীতি।এই দুই দেবীর জন্মবৃত্তান্ত নিয়েও কিছু ভিন্ন মত রয়েছে।

Know what is the rituals and causes of Kalipuja goddess Maa laxmi is worshiped by people  

 আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর পুজো হয়।এই অমাবস্যা তিথি দীপান্বিতা অমাবস্যা নামেও পরিচিত।কিছুদিন আগেই পালিত হয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো।সেদিন সকলে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করেছে।সেইদিন ছিল পূর্ণিমা।তারপরের অমাবস্যাতেই কেন পূজিত হচ্ছেন দেবী লক্ষ্মী?

এই নিয়ে পুরাণে ভিন্ন মত রয়েছে।কালী পুজোর দিন অর্থাৎ দীপান্বিতা অমাবস্যায় বহু বাড়িতেই  সন্ধেবেলায় দেবী অলক্ষ্মীর পুজো করা হয়।কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর সময় যখন দেবী লক্ষ্মী আসেন, সঙ্গে আসেন দেবী অলক্ষীও।তবে প্রশ্ন হলো কে এই দেবী অলক্ষী?

দেবী লক্ষ্মীর দিদি হলেন অলক্ষ্মী।কালী পুজোর দিন সব অশুভকে নাশ করে শুভ শক্তির আগমন করার সঙ্গেই এই অলক্ষ্মীকেও পুজো করে গৃহস্থ থেকে বিদায় জানানোই রীতি।এই দুই দেবীর জন্মবৃত্তান্ত নিয়েও কিছু ভিন্ন মত রয়েছে।অনেকের মতে, প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখের আলো থেকে জন্ম নিয়েছেন লক্ষ্মী আর পিঠ থেকে জন্ম হয়েছে অলক্ষ্মীর।তবে সর্বজনবিদিত প্রচলিত মত অনুযায়ী, সমুদ্রমন্থনের সময় সমুদ্র থেকে উঠে আসা অমৃতের পাত্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন দেবী লক্ষ্মী। তার ঠিক আগেই নাকি জন্ম নেন অলক্ষ্মী।তাই দেবী লক্ষ্মী ও দেবী অলক্ষ্মীকে দুই বোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই দুই বোনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে প্রচুর।সৌভাগ্যের দেবী হলেন মা লক্ষ্মী, অপরদিকে ঈর্ষা ও দুর্ভাগ্যের প্রতীক অলক্ষী।লক্ষীর বাহন পেঁচা হলে, গাধা হল অলক্ষীর বাহন।মঙ্গল ও শুভ দেবী লক্ষ্মীর চিহ্ন হলে, অমঙ্গল ও অশুভ শক্তির প্রভাব জীবনে ঘনিয়ে আনে অলক্ষী।যেহেতু কালী পুজোর দিন অশুভ শক্তির নাশ করে শুভ শক্তির সূচনা হয়, তাই অমঙ্গল ও অশুভের প্রতীক হিসাবে এই দিন পূজিত হন দেবী অলক্ষ্মী।

দীপান্বিতা অমাবস্যায় দক্ষিণাকালীকে মহালক্ষ্মী রূপে পুজো করা হয়।এইদিন অনেক গৃহস্থ বাড়িতেও মহালক্ষ্মী ও ধনলক্ষ্মীর আরাধনা একসঙ্গে করা হয়।একটি রুপোর কয়েন কিনে ধনলক্ষ্মীর চরণে দিয়ে বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ করে পুজো করা হয়।'ওম শ্রীং হৃীং কমলে কমলালয়ে প্রসীদ প্রসীদ শ্রীং হৃীং শ্রীং মহালক্ষ্মী ন', এই মন্ত্রোচ্চারনের দ্বারা ঘরের ধনলক্ষ্মীকে চতুর্দশীতে ঘরেই বেঁধে রাখা হয়।

ঘরের সব অশুভকে অলক্ষ্মীর বিদায়ের সঙ্গে বাইরে রেখে আসেন বাড়ির মহিলারা।ভেতরে থেকে যান কেবল লক্ষ্মী।সাদা আর কালো নিয়ে বসবাস করলেও, কালো যেন আমাদের গ্রাস না করে, সেই প্রার্থনাই চলতে থাকে এই পুজো জুড়ে।