মাহিষমতীর রাজপ্রাসাদ এবার বহরমপুরে, অসুর রূপে ভাল্লাল দেব 

Durga Puja: শুধু মণ্ডপ সজ্জাতেই নয়, প্রতিমাতেও দেখা যাবে 'বাহুবলী' চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রকে। 

Knows about baharampur babubagan durga puja

আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'বাহুবলি' চলচ্চিত্রের মাহিষমতীর রাজদরবার এবার উঠে এল মণ্ডপ সজ্জায়। বহরমপুরের বাবুবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পরিচালনায় তৈরি মন্ডপ এবার মাহিশমতীর রাজপ্রাসাদ সহ সমগ্র সাম্রাজ্য। শুধু মণ্ডপ সজ্জাতেই নয়, প্রতিমাতেও দেখা যাবে 'বাহুবলী' চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রকে। 
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অরিন্দম দাস জানান, ‘মাহিষমতী সাম্রাজ্যের একটি চরিত্র হল বাহুবলী। যিনি সবসময় প্রজাদের সুখ স্বাচ্ছন্দের কথা চিন্তা করতেন। তাই তাকে শুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। অন্যদিকে ভাল্লাল দেব হল অশুভ শক্তির প্রতীক। যে প্রজাদের উপর অত্যাচার ও সবসময় ক্ষতিসাধনের চেষ্টায় থাকত। আমাদের প্রতিমায় এবার মহিষাসুরকে দেখানো হয়েছে অশুভ শক্তির প্রতীক ভাল্লাল দেব হিসাবে। আর মা দুর্গা হচ্ছেন বাহুবলি অর্থাৎ শুভ শক্তির প্রতীক।' 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আমাদের এই বাহুবলীর সেটের আদলে তৈরি মণ্ডপ দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে। এমনকি আমাদের মন্ডপে যে শুধুমাত্র মাহিষমতীর সাম্রাজ্যকে মন্দিরের আদলে তুলে ধরা হয়েছে তা নয়, প্যান্ডেলের যেদিকেই তাকানো হবে সেখানেই দেখা যাবে আলাদা আলাদা স্থাপত্য কীর্তি । এমনকি  প্রত্যেকটি কোনায় কোনায় থাকছে সেলফি জোন। যেখানে এসে ছেলেমেয়েরা আনন্দ করতে পারবে, ছবি তুলতে পারবে।‘ 

৬৫তম বর্ষে এবছর পদার্পণ করল বহরমপুরের বিখ্যাত এই পুজো। শুভ শক্তির আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ অনিবার্য। এই বার্তাই  সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুজোর এই থিম বেছেছেন উদ্যোক্তারা বলে জানান শিল্পী উজ্জ্বল নাথ। তাঁর কথায়, ‘পুরোপুরি বাহুবলী থিমেই করা হয়েছে আমাদের এই প্যান্ডেল । সেই সঙ্গে বাহুবলির বিভিন্ন চরিত্রের ছোঁয়া থাকছে প্রতিমাতেও। চলচ্চিত্রে যেমন দেখানো হয়েছে নায়ক বাহুবলী, ভাল্লাল দেবের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন, ঠিক তেমনই এখানে মহিষাসুরের মধ্যে দেখা যাবে ভাল্লাল দেবের ঝলক। সেই সঙ্গে বাহুবলি রূপী মা দুর্গা সিংহের পিঠে করে মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।' শিল্পী আরও জানিয়েছেন,’প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের মন্ডপ এবং প্রতিমা তৈরি করতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি ঠিক সময়ের মধ্যে পুরো মন্ডপ সাজিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার। আমরা আশাবাদী সমগ্র  জেলার মধ্যে এই মন্ডপ এবং প্রতিমা সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবে।‘