হারিয়ে যাওয়া মাদুর শিল্পকে তুলে ধরার অনন্য উদ্যোগ বহরমপুরের এই দুর্গাপুজোতে

হারিয়ে যাওয়া মাদুর শিল্পকে ফের একবার সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল বহরমপুর শহরের বিষ্ণুপুর অনামী ক্লাব আদর্শ জনকল্যাণ সমিতি। ৭৩ তম বর্ষে এবছর তাদের 'থিম' মাদুর শিল্প।

Madur shilpa is a theme of Durgapuja in baharampur

শ্রেয়সী পাল : হারিয়ে যাওয়া মাদুর শিল্পকে ফের একবার সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল বহরমপুর শহরের বিষ্ণুপুর অনামী ক্লাব আদর্শ জনকল্যাণ সমিতি। ৭৩ তম বর্ষে এ বছর তাদের 'থিম' মাদুর শিল্প। 

পঞ্চমীর সন্ধেতে প্রতিমা এবং পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন হওয়ার পর তা দেখার জন্য বহরমপুর শহরে মানুষের ঢল নেমেছে। 

ক্লাবের সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, "প্রতি বছরই আমাদের ক্লাবের পুজোর প্রতিমা দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসেন। এ বছর আমরা উদ্যোগ নিয়েছি হারিয়ে যাওয়া মাদুর শিল্পকে সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরার জন্য।" 

মেদিনীপুর জেলা থেকে মাদুর এনে রানাঘাটের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পীরা গত প্রায় দেড় মাস ধরে একটি কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তৈরি করেছেন নয়নাভিরাম এই মন্ডপ। সুদৃশ্য এই মন্ডপকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফাইবারের বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি দিয়ে। চন্দননগরের শিল্পীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই মূর্তিগুলো তৈরি করেছেন। 

দেবব্রতবাবু বলেন, "৭০ ফিট উচ্চতা এবং ৭০ ফিট চওড়া এই মন্ডপ তৈরি করার জন্য প্রায় ৮০ 'পেটি' মাদুর ব্যবহার করা হয়েছে।" 

অনামী ক্লাবের ঠাকুরের প্রতিমাতেও রয়েছে চমক। মুর্শিদাবাদের বলরামপুরের বিখ্যাত শিল্পী সুশান্ত ঘোষের কল্পনায় এবার মাতৃ মূর্তি তৈরি হয়েছে। মা দুর্গা এখানে ডানা মেলে পরীর আকারে অবতীর্ণ হয়েছেন। সাথে রয়েছেন তাঁর চার সন্তান। 

ক্লাব সভাপতি বলেন, "মন্ডপসজ্জার সাথে সাযুজ্য রেখে আলোর মালাতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্ডপ এবং আশপাশের এলাকা। রানাঘাট থেকে আলোকশিল্পীরা এসে এ বছর চোখ ধাঁধানো আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন গোটা এলাকা। "

তিনি বলেন, "মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জী আমাদের এ বছরের পুজোর উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের পর থেকেই আমাদের ক্লাবের প্রতিমা এবং মন্ডপ দেখার জন্য মানুষের ঢল নেমেছে। কোনওরকম অপ্রীতকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি ক্লাবের তরফ থেকে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে।"