ফিরে যাওয়া সেই সাবেকি আমলে, জমিদারবাড়ির পূজাতেও থিমের ছোঁয়া 

Durga Puja: চার দিকে তৈরি হয়েছিল চারটি বাড়ি। আজ থেকে প্রায় ৩১৫ বছর আগে টাকিতে ইছামতি নদীর পাড়ে যা তৈরি করেছিলেন ওই অঞ্চলের জমিদার রমাকান্ত রায়চৌধুরী।

Durga Puja 2024, Taki zamindar bari will go down memory lane

আজকাল ওয়েবডেস্ক: চার দিকে তৈরি হয়েছিল চারটি বাড়ি। আজ থেকে প্রায় ৩১৫ বছর আগে টাকিতে ইছামতি নদীর পাড়ে যা তৈরি করেছিলেন ওই অঞ্চলের জমিদার রমাকান্ত রায়চৌধুরী। চারটির মধ্যে পূর্ব দিকের বাড়িটি ছিল একেবারে সুসজ্জিত। যা পরিচিত ছিল পূবের বাড়ি নামে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বাড়িগুলি নষ্ট হয়ে গেলেও আজও টাকির জমিদারবাড়ির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে এই পূবের বাড়িটি। হাসনাবাদ ও টাকি এলাকায় প্রথম দুর্গাপূজা হিসেবে পরিচিত এই পূবের বাড়ির পুজো। 

অতীতের সেই জমিদারি আমলের প্রথা মেনে আজও এই বাড়িতে পূজিতা হন দেবী দূর্গা। দালানে শোভা পায় দেবী প্রতিমা। আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে এই বাড়িতে মহিষ বলির প্রথা ছিল। এখন তার পরিবর্তে আখ ও কুমড়া বলি। বিসর্জনের পর সেই পুরনো রীতি মেনে খাওয়া হয় পান্তা ভাত ও কচুর শাক। 

এই সাবেকি পূজাও এবার ঢুকে পড়েছে থিম-এর বৈচিত্র্যে। এবারের থিম গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কীভাবে সেই আমলে ধান ঝাড়া হত বা সেই ধান কীভাবে বস্তায় ভরা হত তার পাশাপাশি যখন ফ্রিজ ছিল না তখন মানুষ কীভাবে শাকসবজি সংরক্ষণ করত সেই বিষয়গুলি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই থিমে। থাকবে তৎকালীন সময়ের লন্ঠনের ব্যবহারও। সব মিলিয়ে এই পূজা প্রাঙ্গণে ঢুকলে মনে হবে যেন ফিরে যাওয়া হয়েছে সেই অতীতের যুগে। যে যুগে ইলেকট্রিকের ব্যবহার ছিল সীমিত বা ডাকের জন্য মানুষ নির্ভর করে থাকত রানার-এর ওপর। 

তবে থিম পূজা চালু হলেও পুজোতে রীতিনীতি কিন্তু সেই একই আছে। আজও সেই সময়ের রীতি মেনে ১৬ জন বেহারা টাকির রাজবাড়ি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেন। যাতে যোগ দেন আশেপাশের বাসিন্দারা। কোলাকুলির শেষে মিষ্টিমুখে ফিরে যান সবাই।