বিসর্জনের দিন ঘটেছিল অলৌকিক ঘটনা! তারপর থেকে দেবীকে বিসর্জন দেওয়ার সাহস করেন না কেউ

আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপেক্ষার মাত্র কয়েকটা দিন। আর কয়েকদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই দুর্গাপুজোর তোড়জোড়। বাড়ি থেকে শুরু করে পাড়ার ক্লাব, সব জায়গাতেই দুর্গাপুজো ঘিরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বাড়ির পুজোর ক্ষেত্রে অনেক বাড়িতেই থাকে বিশেষ বিশেষ নিয়ম। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জয়নগরের বহরুতে রয়েছে এমন এক বনেদি বাড়ি যে বাড়ির নিয়ম একটু আলাদা।
এই বাড়িতে বিসর্জনের দিন দেবীর বিসর্জন হয় না। জয়নগরের বহরুতে পন্ডিত বাড়ির দুর্গাপুজো আনুমানিক ১২৫ বছরের পুরনো। পুজোয় রয়েছে বিশেষত্ব। প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই এই পুজো চলে আসছে। কিন্তু এই পূজোয় উমাকে বিসর্জন দেওয়া হয় না। তার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অলৌকিক কাহিনী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, এই পূজো শুরু হয়েছিল ১৩৩৪ সালে। সূচনা করেছিলেন কৃষ্ণ গোপাল পন্ডিত। এখনও প্রাচীন রীতিনীতি এই পুজোতে বহাল রয়েছে। কথিত আছে আনুমানিক ৫০ বছর আগে পুজোর পর দুর্গা প্রতিমাকে যখন বিসর্জন দেওয়ার জন্য ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সময় ঘটেছিল একটি অলৌকিক ঘটনা। দেবী দুর্গার পিছনে দেখা যায় সর্প। বিসর্জন আর দেওয়া হয়নি। প্রতিমাকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। এরপর সারা বছরই প্রতিমা বাড়ির ঠাকুর দালানেই রাখা হয়। বিসর্জনের দিন নবপত্রিকার বিসর্জন করা হয়। কিন্তু দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে পরিবারের সদস্য ভবানী সরকার বলেন, এই পূজোর বয়স আনুমানিক ১২৫ বছর আর এই পুজোকে জড়িয়ে রয়েছে অলৌকিক কাহিনী। এই পুজোয় দেবীকে বিসর্জন করা হয় না। শুধুমাত্র নবপত্রিকাকে বিসর্জন দেওয়া হয়। পুজোয় প্রাচীন রীতিনীতি এখনও পর্যন্ত বহাল রয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের আরেক সদস্য জানান, প্রতিবছর নিয়ম মেনে প্রতিমা রং করা হয়। মহালয়ার দিন চক্ষু দান করা হয়। প্রতিমা সারা বছর রাখা হয় এই ঠাকুরদালানে। পূর্বপুরুষের কাছে শুনে এসেছি যখন এই দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জন করার জন্য বিসর্জন ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন ঘটেছিল একটি অলৌকিক ঘটনা।
পন্ডিত বাড়ির এই দুর্গাপুজো দেখতে জয়নগর-সহ দূরদূরান্ত থেকে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। পুজো ঘিরে এই বাড়িতে এখন সাজো সাজো রব।