ট্রাম্প রূপী অসুর! এবার পুজোয় বিরাট চমক বহরমপুরের এই দুর্গাপুজো কমিটির

চতুর্থীর দিন উদ্বোধনের পর থেকেই মণ্ডপে মানুষের ঢল। কিন্তু কেন এই ভাবনা?

Donald Trump as demon idol steals spotlight at Bengal Durga puja pandal 2025
অসুর ট্রাম্পকে বধ করছেন দেবী দুর্গা।

আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গা প্রতিমা বা মণ্ডপ নয়, বহরমপুরের খাগড়া শ্মশানঘাট দুর্গাপুজো কমিটির এবারের চমক অসুরে। এখানে দশভুজা বধ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদলে মহিষাসুরকে! ইতিমধ্যেই দর্শকদের নজর কেড়েছে এই ট্রাম্প রূপী অসুর। চতুর্থীর দিন উদ্বোধনের পর থেকেই মণ্ডপে মানুষের ঢল।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতই ব্লন্ড চুল, ফর্সা গায়ের রঙে সাজিয়ে তোলা হয়েছে অসুরকে। মূর্তিটি তৈরি করেছেন শিল্পী অসীম পাল। চতুর্থীতে বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ু গোপাল মুখার্জির উপস্থিতিতে দুর্গামূর্তিটি উন্মোচন করা হয়েছে।

কেন হঠাৎ এই ভাবনা? খাগড়া শ্মশানঘাট দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য প্রতীকের কথায়, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তাঁকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মহিষাসুরের রূপ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বন্ধু এবং বাণিজ্য-বৈদেশিক নীতিতে যোগ্য অংশীদার বলে মনে করেছেন। অথচ ট্রাম্পের কাজকর্ম ভারতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ভারতের উপর আরোপিত পঞ্চাশ শতাংশ শুল্কের জবাব এটা। সব ভারতীয়দের মনেই এখন অসুর ট্রাম্প। তাই তাঁকেই মহিষাসুরের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।' 

বিশ্ব রাজনীতির সঙ্গে স্থানীয় শিল্প এবং সংস্কৃতিকে মেলানো হয়েছে এই পুজোয়। 

মূর্তিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে, পূজা কমিটির সদস্য প্রতীক বলেন, "তিনি আমাদের উপর আরোপিত পঞ্চাশ শতাংশ শুল্কের জবাবে আমরা এই মূর্তিটি তৈরি করেছি। আমাদের মোদি, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বন্ধু মনে করতেন, তিনি তার দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এর প্রতিফলন হিসেবে, আমরা তাকে একজন রাক্ষস হিসেবে চিত্রিত করেছি। শুক্রবার মণ্ডপ উদ্বোধনের পর থেকেই আমরা আমাদের স্থানীয় এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।"

তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূর্তি গড়া হয়েছে এই ভারতেই। ২০১৮ সালে তেলঙ্গানার এক চাষী ট্রাম্পের মূর্তি তৈরি করে একটি মন্দির বানিয়েছিলেন। ছয় ফুটের মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। নিয়মিত পুজোও দিতেন ওই কৃষক। বুসা কৃষ্ণা নামে ওই কৃষক মনে করতেন, ট্রাম্পের পুজো করলে তাঁর জীবনে এবং সংসারে আর্থিক উন্নতি হবে, সমৃদ্ধ হবে তাঁর জীবন। দুই দেশের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়া বজায় থাকবে বলেও মনে করতেন ট্রাম্পের ওই অনুগামী। ২০২০ সালে যদিও বুসা কৃষ্ণার মৃত্যু হয়। এখনও তেলঙ্গানার সেই গ্রামে রয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের সেই মন্দির।