পুজোর মণ্ডপ যেন ছোট্ট অসম রাজ্য, 'জাপি' সংস্কৃতির ছোঁয়ায় সেজে উঠেছে মুহুরিপাড়া

জলপাইগুড়ির দুর্গা পুজোর মণ্ডপ যেন ছোট্ট এক টুকরো অসম রাজ্য। "জাপি' সংস্কৃতির ছোঁয়ায় এবার সাজিয়ে তোলা হয়েছে শহরের মুহুরিপাড়ার পুজো মণ্ডপ। অসমের লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে পুজো মণ্ডপে। মণ্ডপের ভেতরে রয়েছে বিহু লোকনৃত্য ও কিংবদন্তি শিল্পী ভুপেন হাজারিকার চিত্র।

Durga Puja 2024 jalpaiguri muhuripara pujo theme gnr

পার্থসারথি রায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির দুর্গা পুজোর মণ্ডপ যেন ছোট্ট এক টুকরো অসম রাজ্য। "জাপি' সংস্কৃতির ছোঁয়ায় এবার সাজিয়ে তোলা হয়েছে শহরের মুহুরিপাড়ার পুজো মণ্ডপ। অসমের লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে পুজো মণ্ডপে। মণ্ডপের ভেতরে রয়েছে বিহু লোকনৃত্য ও কিংবদন্তি শিল্পী ভুপেন হাজারিকার চিত্র। অসমের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে থিম‌ করে এবার পুজোর আয়োজন করেছে মুহুরিপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। 

বাঁশের বিভিন্ন কারুকাজের মাধ্যমে গোটা মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এজন্য অসম থেকে প্রায় ২০ জন শিল্পী নিয়ে আসা হয়েছিল। জলপাইগুড়িতে এসে প্রায় দেড় মাস ধরে মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ করেছেন তাঁরা। ৭৫তম বর্ষের এই পুজোর বাজেট প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলোর মধ্যে বরাবরই অন্যতম মুহুরিপাড়া‌ সর্বজনীন দুর্গাপুজো সমিতি। প্রতি বছরই বিশেষ থিমের পুজোর আয়োজন করেন এই পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সম্পাদক উত্তম বসু বলেন, 'প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ চমক থাকে আমাদের এখানে। অসমের প্রাচীন লোকসংস্কৃতিকে এবার তুলে ধরেছি আমরা। জলপাইগুড়িতে এই প্রথম কোন‌ও পুজো মণ্ডপে এমন ঐতিহ্য দেখা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ কাজ হয়েছে মূলত বাঁশ দিয়ে। আকর্ষণীয় এই মণ্ডপ জলপাইগুড়িবাসীর মন জয় করে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। অসমের শিল্পীরা মিলে তৈরি করেছেন এই পুজো মণ্ডপ। গোটা মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে অসমের প্রাচীন ঐতিহ্য "জাপি'। এছাড়া রয়েছে অসমের বিভিন্ন সংস্কৃতিক ছোঁয়া। অসমে বাঙালি বিদ্বেষ কাটিয়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।'

 পুজো কমিটির সম্পাদক তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর উত্তম বসু বলেন, 'অসম রাজ্যের বাঙালিদের সঙ্গে একটি বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অসমীয়াদের মধ্যে। আমরা চাই সেই বিদ্বেষকে দূরে ঠেলে দিয়ে দুই রাজ্যের মানুষের মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতির অটুট মেলবন্ধন গড়ে উঠুক।'