'পুজো বলতে তখন বুঝতাম নাটকের মহড়া, আজ আর পুজোর গন্ধ পাই না', স্মৃতির পাতায় ডুব অম্বরীশ ভট্টাচার্য-এর
পুজোর একাল-সেকালকে সঙ্গী করে অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য ডুব দিলেন স্মৃতির পাতায়।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরতের আকাশে মেঘের ভেলায় মাঝেমধ্যেই ভেসে যেতে মন চায় ছোটবেলায়। এইরকম ইচ্ছে কি তারকাদেরও হয়? হয় বইকি! পুজোর একাল-সেকালকে সঙ্গী করে অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য ডুব দিলেন স্মৃতির পাতায়।
অভিনেতার কথায়, "ছোটবেলাটা কেটেছে উত্তর কলকাতায়। পুজো বলতে তখন বুঝতাম নাটকের মহড়া। ক'টা জামা হয়েছে পুজোয় সেই হিসাবের আগে থাকত কবে শুরু হবে পাড়ার ফাংশনের রিহার্সাল। আমার নাটক, গানের হাতেখড়ি ওই পুরনো পাড়ার মা, কাকিমাদের হাত ধরেই।"
তিনি আরও বলেন, "তখন কুমার রায়, কেতকী দত্ত থাকতেন আমাদের পাড়ায়। ওঁদের কাছে নাটকের রিহার্সালের জন্য যেতাম। এখন কথাগুলো মনে পড়লে ধৃষ্টতা মনে হয়। পুজোর পাঁচদিনই মন্ডপের পাশে স্টেজ তৈরি করে চলতো অনুষ্ঠান। কখনও কখনও সিনেমা দেখার আসরও বসত।"
অম্বরীশ বলেন, "তখন পুজোর খাওয়া-দাওয়া বলতে পাড়ার মোড়ের রোল। যেটা অন্যান্য দিন শুধু এগরোল হত, পুজোর দিনে সেই রোলে থাকত চিকেন। ঘুগনি, আলু কাবলি তো আছেই। সেই সঙ্গে মন্ডপে ভোগ খাওয়া। বাড়িতে পুজোর দিনগুলোয় খুব কম খেতাম। পাড়ার কারওর না কারওর বাড়িতে রোজ নিমন্ত্রণ থাকতই। নবমীতে পাঁঠার মাংস হতোই। তখন আমাদের ডাক পড়ত পাঁচ পেড়ে বসে খাওয়ার।"
"ছোটবেলায় কখনও পাড়ার পুজো ছেড়ে বেরিয়ে ঠাকুর দেখেছি বলে মনে পড়ে না। সেই দিনগুলো আজ স্মৃতির পাতায়। এখন পুজোর আমেজ বদলেছে। পরিবেশ, পরিস্থিতি সব বদলেছে। তাই বোধহয় এখন পুজোর গন্ধ পাই না।"