অস্ট্রিয়ার রাজপ্রাসাদ এবার বহরমপুরের দুর্গাপুজোতে, চতুর্থীতেই মণ্ডপে উপচে পড়া ভিড়
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার হফবুর্জ প্যালেসের একাংশ এবার দেখতে পাওয়া যাবে বহরমপুরের ভৈরবতলা দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে। ৬৩ তম বর্ষে এবছর তাদের থিম ভিয়েনার নজরকাড়া এই রাজপ্রাসাদ।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার হফবুর্জ প্যালেসের একাংশ এবার দেখতে পাওয়া যাবে বহরমপুরের ভৈরবতলা দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে। ৬৩ তম বর্ষে এবছর তাদের থিম ভিয়েনার নজরকাড়া এই রাজপ্রাসাদ। শুক্রবার সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি 'ভার্চুয়ালি' এই পুজোর উদ্বোধন করলেও উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন প্যান্ডেলের কাজ শেষ হতে আরও একদিন সময় লাগবে।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয় এই প্রাসাদ। পরবর্তীকালে তা বহুবার সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে আজও এটি অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র।
ভৈরবতলা দুর্গাপুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সৌগত বিশ্বাস বলেন, প্রতিকুল আবহাওয়ার জন্য প্যান্ডেল তৈরিতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করে দেওয়ার পরই প্রতিমা এবং প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের জন্য দেখার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
এবছর ভৈরবতলা পুজো কমিটির প্রতিমা শিল্পী বেলডাঙার মধুসূদন মিস্ত্রি। গত কয়েক মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে শিল্পী মাটির উপর রঙের কাজ করে সাজিয়ে তুলেছেন দুর্গা প্রতিমা এবং তাঁর সাথে থাকা চার সন্তানদের। পুজো প্যান্ডেল থেকে শুরু করে রাস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত আলোকসজ্জাও এবার দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
বহরমপুরের 'ম্যাডক্স স্কোয়ার' হিসেবে পরিচিত ভৈরবতলা পুজো কমিটির 'প্লাস পয়েন্ট' তাদের বিশাল মাঠ। সৌগত বলেন, 'পুজোর দিনগুলোতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ঠাকুর দেখে বহু মানুষ আমাদের মাঠে এসে ক্ষণিক জিরিয়ে নেন। তখন এই পুজো প্রাঙ্গণ মিলন মেলাতে পরিণত হয়। প্রত্যেকদিন আমাদের পুজো দেখতে প্রায় ৫০-৭৫ হাজার মানুষ আসেন। আমাদের আশা এবছরও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের সমাগম আমাদের পুজো প্যান্ডেলে হবে। আমাদের পুজোতে সকলেই ভিআইপি। তাই 'বিশেষ অতিথি'দের জন্যও আমরা আলাদা করে কোনও প্রবেশ পথ তৈরি করি না।অষ্টমীর দিন পাড়ার লোকেদের জন্য রয়েছে ভোগের আয়োজন। প্রায় ১২০০ মানুষের জন্য থাকবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা।'