কলকাতার ক্লাবে বনবিবির পালা-রয়্যাল বেঙ্গল! ভিড় কাটিয়ে কীভাবে পৌঁছে যাবেন এক টুকরো সুন্দরবনে?
Durga Puja: শহর কলকাতা। পুজোর কলকাতা। ভিড় শহরের পুজোর মাঝেই যেন একটুকরো সুন্দরবন। কোথায় গেলে এই ভিড়ের মাঝে টুক করে পৌঁছে যেতে পারবেন গ্রাম্য সরল জীবনে?
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহর কলকাতা। পুজোর কলকাতা। ভিড় শহরের পুজোর মাঝেই যেন একটুকরো সুন্দরবন। কোথায় গেলে এই ভিড়ের মাঝে টুক করে পৌঁছে যেতে পারবেন গ্রাম্য সরল জীবনে? খাস কলকাতার বেহালা ক্লাব। সেখানের থিম এবার আরণ্যক।
আরণ্যক গল্প শোনায় বাংলার বদ্বীপ অঞ্চলের গ্রাম্য সরল মানুষের, যেখানে কান পাতলে শোনা যায় নদীর ফিসফিস, আর জোয়ার ভাঁটার ছন্দে ম্যানগ্রোভের ডালপালার খসখস উল্লাস। সুন্দরবনের মানুষজন, প্রকৃতির সাথে, বিভিন্ন প্রতিকুলতাকে সঙ্গী করে, আশা-হতাশা, জীবন-মৃত্যুকে বাজি রেখে এগিয়ে চলেছেন জীবনের স্রোতে। তাঁদের কথা, তাঁদের জীবন এবার কলকাতার বুকে।
কোলাজের মতন ম্যাপের সারিতে চোখ আটকে থাকে বহুক্ষন। জিজ্ঞাসু দৃষ্টি বারবার ঘুরে চলে দক্ষিণ থেকে উত্তর, মাতলা থেকে বিদ্যাধরী, সীতারামপুর থেকে নেতাধোপানি, ছোট ছোট ঘর, নৌকা, জাল, খাল বিলের কাটাকুটি আর সাগরের জলে পা ডুবিয়ে ভেসে থাকা ব-দ্বীপের সারি দেখতে দেখতে মন চলে যাবে সুন্দরবনে। একটা সময় আচমকা পা থেমে যায় বনবিবির সামনে, যেন আচমকা সামনে রয়্যাল বেঙ্গল। সেখানকার মানুষের বেঁচে থাকা-যাপন নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
শুধু কি গ্রামের ছোঁয়া? মুগ্ধতা? বাঘের আঁচড়, শরীরে সারাজীবন বয়ে বেড়ানো ক্ষতের দাগ, অন্যকে হারানোর যন্ত্রণার সুর ছড়িয়ে রয়েছে মণ্ডপ জুড়ে।