যাদের চোখে আজীবনের অন্ধকার তারাই দেখল দেবীর চোখে, উদাহরণ শহরের উৎসব
Durga Puja: মনের ‘আলো’ দিয়ে দেবীর চক্ষুদান ‘দর্শন’ করানো হল দৃষ্টিহীনদের। মহালয়ায় দুর্গার চক্ষুদান পর্বে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল উত্তর কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত দুর্গাপুজো কাশী বোস লেন পুজা কমিটি।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজো সবার। পুজোর আলোর রোশনাইয়ের মাঝেও ওদের সামনে সবটাই অন্ধকার। চোখে আলোর জ্যোতি নেই। এবার তাদের জন্যই অভিনব উদ্যোগ। যাদের চোখে আজীবনের অন্ধকার, মহালয়ায় তারাই দেখল দেবীর চোখে।
মনের ‘আলো’ দিয়ে দেবীর চক্ষুদান ‘দর্শন’ করানো হল দৃষ্টিহীনদের। মহালয়ায় দুর্গার চক্ষুদান পর্বে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল উত্তর কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত দুর্গাপুজো কাশী বোস লেন পুজা কমিটি। দৃষ্টিহীনদের চক্ষুদান ‘দেখানোর’ জন্য ব্রেইল পদ্ধতির সাহায্য নিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। গত বছরের মত এ বছরও মহালয়ার দিন দুর্গার চক্ষুদান করলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ও শ্যামপুকুর কেন্দ্রের বিধায়ক শশী পাঁজা।
চক্ষুদান পর্বকে বিশেষ করে তুলতে বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্নদের নিয়ে এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সোমেন দত্ত জানিয়েছেন, 'পুজো সকলের। কোনও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। '
দৃষ্টিহীনদের সামনে ব্রেইলে চক্ষুদান পর্বের গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে রাখা হয়েছিল। তাঁরা হাত দিয়ে স্পর্শ করে বুঝেছেন ঠিক কীভাবে চোখ আঁকা হচ্ছে, কোন রং দেওয়া হচ্ছে, কোন চোখ আগে আঁকা হচ্ছে সবটাই। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে চোখ আঁকা হবে, ঠিক সেভাবেই পরপর ঘটনাপ্রবাহ ব্রেইল অক্ষরে বোর্ডের মধ্যে লেখা থাকবে। সেটা ছুঁয়ে অনুভব করে মন দিয়ে মায়ের চক্ষুদান ‘দর্শন’ করেছেন দৃষ্টিহীনরা। উপস্থিত ছিল প্রায় ৪৫ জন দৃষ্টিহীন।