দুর্গাপুজোয় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখবেন! রাস্তার স্টলের ভাজাভুজি নয়, ব্যাগে রাখবেন কোন কোন স্ন্যাক, জানুন

Durga Puja 2025: ভাজাভুজি, মিষ্টি আর ফাস্টফুড, যেগুলোকে না বলা সত্যিই কঠিন। কিন্তু উৎসবের মজা বজায় রেখে যদি একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায়, তাহলে শরীরও থাকবে ফিট আর মনও থাকবে খুশি। 

Which snacks to carry during durga puja pandal hopping

দুর্গাপূজোর আনন্দ মানেই ঠাকুর দেখা! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক মণ্ডপে মণ্ডপে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, পরিবারের সঙ্গে ছবি—সব মিলিয়ে চারপাশে শুধু উৎসবের আবহ। তবে এই আনন্দের মাঝেই থাকে অনেকটা হাঁটা, লম্বা লাইনে অপেক্ষা আর প্রচুর এনার্জি খরচ, যেটা শরীরকে সহজেই ক্লান্ত করে দেয়। আর তখনই চোখে পড়ে রাস্তার ধারে সাজানো একের পর এক খাবারের দোকান—ভাজাভুজি, মিষ্টি আর ফাস্টফুড, যেগুলোকে না বলা সত্যিই কঠিন। কিন্তু উৎসবের মজা বজায় রেখে যদি একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায়, তাহলে শরীরও থাকবে ফিট আর মনও থাকবে খুশি। 

এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে হেঁটে যেতে যথেষ্ট এনার্জি লাগে। ঠাকুর দেখার লাইনেও দাঁড়াতে হয় অনেকটা সময়। এতে অনেক ক্যালোরিও খরচ হয়, যার ফলে খিদে বেড়ে যায় এবং প্যান্ডেলের খাবারের স্টলগুলো এড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।

পুষ্টিবিদ মধুরা পি বেহকি তিনটি হেলদি স্ন্যাক্সের আইডিয়া দিয়েছেন, যা আপনি সঙ্গে নিয়ে প্যান্ডেল হপিং করতে পারেন। তিনি বলেন, প্রথম স্ন্যাক্স হল ভাজা মাখনা চাট। এতে ফ্যাট আর কার্বোহাইড্রেট কম থাকে, কিন্তু ফাইবার প্রচুর, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে।

দ্বিতীয় হল ওটস-খেজুর লাড্ডু, যদি মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয়। এতে থাকা ফাইবার ও প্রাকৃতিক চিনি এনার্জি ধরে রাখে।

তৃতীয় হল গ্রিক দই ট্রেল মিক্স। এতে প্রচুর প্রোটিন, হেলদি ফ্যাট ও প্রোবায়োটিকস আছে, যা হজমের জন্য ভালো এবং হৃদপিণ্ডকেও সুস্থ রাখে।

ভাজাভুজি খেতে ভাল লাগলেও তা শরীরের ক্ষতি করে। মাঝরাস্তায়ও অসুস্থ বোধ করার ঝুঁকি থাকে। তাই ঠাকুর দেখতে বেরনোর সময় কী কী করবেন জানুন

ছোট একটি স্ন্যাক্স কিট সঙ্গে রাখুন: শুকনো ফল, একটি প্রোটিন বার আর একটি জলের বোতল রাখা খুব কাজে দেয়। এতে প্রতিটি প্যান্ডেলে অযথা স্ন্যাক্স খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়।

হাইড্রেটেড থাকুন: দীর্ঘ সময় বাইরে আর ভিড়ে থাকার কারণে ডিহাইড্রেশন খুব সাধারণ সমস্যা। এটি ক্লান্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত জল খান।

বেরনোর আগে ভালভাবে খেয়ে নিন: প্যান্ডেল হপিং শুরু করার আগে পুষ্টিকর খাবার খেলে তেলেভাজা খাবার বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

পরিমাণে নজর রাখুন: বন্ধুদের সঙ্গে একটি প্লেট শেয়ার করুন। এতে মজা যেমন বাড়ে, তেমনি ফুড গিল্টও কম হয়। অর্থাৎ ভাজাভুজি খাওয়ার পর পাপবোধে ভুগতে হয় না।

দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখা ধরনের স্মৃতি তৈরি করার যাত্রা। তবে সেই আনন্দের মাঝেই শরীরের যত্ন নেওয়াটাও সমান জরুরি। অল্প কিছু পরিকল্পনা, সঠিক স্ন্যাকস বেছে নেওয়া আর শরীরের সঙ্কেত শোনা—এই কয়েকটি অভ্যাসই আপনাকে দিবে এনার্জি, রাখবে সুস্থ এবং উৎসবের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার মতো ফিট। তাই এ বছর প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরনোর সময় আনন্দ আর স্বাস্থ্যের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রাখুন, আর উৎসব হোক আরও রঙিন এবং প্রাণবন্ত।