পুজোয় রোল-বিরিয়ানি খেয়ে অ্যাসিডিটি! আগেভাগেই জেনে নিন মুক্তির সহজ উপায়, নিশ্চিন্তে হোক পেটপুজো

How To Control Acidity: পেটপুজোর পর অ্যাসিডিটিও নেহাত কম জ্বালায় না। গ্যাসের সমস্যাও জাঁকিয়ে বলে। এমন অবস্থায় কী করবেন? 

Home remedies for acidity due to fast food

দুর্গাপুজো মানেই খাওয়াদাওয়া। সারা বছর কড়া জায়েটে মানুষও ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে অচিরেই রাস্তার ধারের স্টলের রোল-ফুচকা খেয়ে ফেলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে বিরিয়ানিও চাই-ই চাই! অথচ এত পেটপুজোর পর অ্যাসিডিটিও নেহাত কম জ্বালায় না। গ্যাসের সমস্যাও জাঁকিয়ে বলে। এমন অবস্থায় কী করবেন? 

হেলথলাইনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাসিডিটি দূর করার আগে এর কারণ জানা জরুরি, যাতে এটি এড়ানো যায়। অ্যাসিডিটির প্রধান কারণ হল ভুল খাদ্যাভ্যাস। অতিরিক্ত মশলাদার, তেলযুক্ত বা ভারী খাবার খেলে বেশি অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর পাশাপাশি গভীর রাতে খাওয়া, বারবার খাওয়ার সময় পরিবর্তন করাও এর একটি কারণ হতে পারে। যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম না করেন, তাহলেও পেটে অ্যাসিড বেশি তৈরি হতে পারে। একইভাবে মানসিক চাপও অ্যাসিডিটির একটি কারণ। মদ্যপান, ধূমপান এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণও অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায়। কখনও কখনও কিছু ওষুধ এবং সংক্রমণও পেটে অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় অথবা পেটের আস্তরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
খাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া, কম জল খাওয়া এবং দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা—এসব কারণও অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তোলে। এসব কারণে পেটের মিউকাস স্তর দুর্বল হয়ে অ্যাসিডের সংস্পর্শে আসে, যার ফলে অ্যাসিডিটির উপসর্গ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

বেকিং সোডা – বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট পেটের অতিরিক্ত অ্যাসিডকে নিউট্রালাইজ করে তাত্ক্ষণিক আরাম দেয়। এক চামচ বেকিং সোডা এক কাপ পানিতে মিশিয়ে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। তবে এটিকে নিয়মিত ব্যবহার করা যাবে না, শুধু মাঝে মাঝে অ্যাসিডিটির সময়েই খাওয়া উচিত। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সোডা মিক্সড পাউডার পাওয়া যায়, যেটি খাওয়ার পর অ্যাসিডিটি থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি মেলে। চাইলে সামান্য জিরা ভেজে গুঁড়ো করে বেকিং সোডার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আরও দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।

আপেল সাইডার ভিনিগার– আপেল সাইডার ভিনিগার পেটে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে অনেক কার্যকর। এক চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খাবারের আগে খেলে আরাম মেলে। মনে রাখতে হবে, সাধারণ ভিনেগার নয়, শুধু আপেল সাইডার ভিনিগারই ব্যবহার করতে হবে।
আদা– আদা শুধু সর্দি-কাশি সারানোর জন্য নয়, এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে, যা হজম শক্তি বাড়ায় এবং অ্যাসিডিটি কমায়। এর জন্য আদার চা খাওয়া সবচেয়ে ভাল। তবে দুধ বা চিনি দিয়ে নয়, শুধু জলে আদা দিয়ে ফোটাতে হবে। চাইলে সামান্য জিরেও যোগ করা যায়। দিনে চার-পাঁচ বার আদার চা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
চিউইং গাম– খাওয়ার আধঘণ্টা পরে চিনি-ছাড়া চিউইং গাম খেলে লালা নিঃসৃত হয়, যা অ্যাসিডকে পাতলা করে দেয় এবং গলা পরিষ্কার রাখে। এভাবে অ্যাসিডিটি থেকে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায়।

হার্বাল টি– বিভিন্ন ধরনের হার্বাল চা অ্যাসিডিটি থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। পুদিনা, ক্যামোমাইল বা আদার হার্বাল টি খাওয়া যেতে পারে। ক্যামোমাইল বা পুদিনা ফুটিয়ে সেই চা পেটের পেশিকে আরাম দেয়, ফলে অ্যাসিডিটি কমে যায়। খাবারের পর এক কাপ হালকা হার্বাল চা খাওয়া খুব উপকারী।