উৎসবের আমেজে আড্ডার সঙ্গী রঙিল জল! সুস্থভাবে উল্লাস করতে চাইলে মেনে চলুন ১:১ নিয়ম
Drinking Tips: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের বিপদ ডেকে আনে। কিন্তু সহজ কিছু নিয়ম মানলেই সমাধান পাওয়া যেতে পারে।

উৎসবের আমেজে বন্ধুদের আড্ডায় অনেক সময়ই সঙ্গী হয় চিলড বিয়ার। কখনও কখনও থাকে ওয়াইন-হুইস্কিও। গল্পের মাঝে কত গ্লাস যে গলায় ঢালা হয়ে যায়, তার কোনও হিসাব থাকে না। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের বিপদ ডেকে আনে। কিন্তু সহজ কিছু নিয়ম মানলেই সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
ফিটনেস কোচ লার্স মেইডেল ১৯ সেপ্টেম্বরের এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানালেন, অ্যালকোহল সেবনের কিছু সাধারণ ভুল আমাদের শরীরের ক্ষতি আরও বাড়িয়ে তোলে।
যদিও অ্যালকোহল নিজেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তবে কখন এবং কীভাবে এটি পান করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে ক্ষতির মাত্রা কিছুটা কমানো সম্ভব।
লার্সের মতে, কিছু সাধারণ ভুল আছে যেগুলো অনেকেই করেন—
প্রথমত, খালি পেটে অ্যালকোহল পান করা।
দ্বিতীয়ত, চিনি মেশানো অ্যালকোহল পান করা।
তৃতীয়ত, রাত ১০টার পর খাবার খাওয়া।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, অ্যালকোহল আমাদের ঘুম, টেস্টোস্টেরন এবং মেটাবলিজম নষ্ট করে দেয়— যা দীর্ঘমেয়াদে ফ্যাট কমানো, মাংসপেশি গঠন এবং সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
মদ্যপানের সময় এই ভুলগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। মাঝে মধ্যে হলেও এই ধরনের অভ্যাস ঘুম, হরমোন নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাট বার্ন এবং মাংসপেশি গঠন– সবকিছুকেই নষ্ট করে দিতে পারে
লার্স জানিয়েছেন, অ্যালকোহল কীভাবে এবং কখন পান করছেন, তার উপর নির্ভর করে এর ক্ষতি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
তিনি শেয়ার করেছেন তিনটি সহজ হ্যাক, যেগুলো শরীরকে অ্যালকোহল দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করতে সাহায্য করে এবং বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি কমায়—
ঘুমনোর আগে অ্যালকোহল নয়
ঘুমনোর অন্তত তিন–চার ঘণ্টা আগে পর্যন্ত অ্যালকোহল পান করবেন না। ঘুমনোর আগে ম্যাগনেসিয়াম গ্লাইসিনেট এবং এক গ্লাস লেবুর রস মিশ্রিত জল (সামুদ্রিক লবণ দিয়ে, টেবিল সল্ট নয়) পান করুন। এতে লিভারের কাছে সময় থাকবে অ্যালকোহল ভাঙার, ফলে ঘুম হবে শান্তিপূর্ণ।
১:১ নিয়ম
প্রতিটি অ্যালকোহলিক ড্রিঙ্কের পর এক গ্লাস জল পান করুন। এতে শরীরে অ্যালকোহলের ভারী প্রভাব অনেকটাই কমে যায়।
পান করার আগে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার
অ্যালকোহল পান করার আগে অবশ্যই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। যেমন—এক টুকরো ফ্যাটি স্টেক আদর্শ। এতে অ্যালকোহলের প্রভাব ধীরে ধীরে কাজ করবে।
লার্সের মতে, এই ছোট ছোট অভ্যাস বদল মানেই পান করা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া নয়। বরং বুদ্ধিমানের মতো শরীরকে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখা। এতে সুস্থ থাকবেন, উল্লাসেও কোনও ঘাটতি থাকবে না।