দুর্গাষ্টমীর বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে হয় সন্ধিপূজো, জানুন এই পুজোর ইতিহাস ও নিয়মাবলী

rituals of sondhipuja: চলতি বছরে শারদীয়া দুর্গাপূজায় অষ্টমী তিথি শুরু ২৩শে আশ্বিন, ইংরেজির ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, সকাল ৭টা ২৩ মিনিট ৪৬  সেকেন্ডে এবং অষ্টমী তিথি শেষ বাংলা ২৪ আশ্বিন, ইংরেজির ১১ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ৬টা ৪৬ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে। অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনার পুজোই হল সন্ধিপুজো। মহাষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট এবং মহানবমীর প্রথম ২৪ মিনিটই হল সন্ধিপুজোর সময়কাল। সন্ধিপুজোয় দেবী দুর্গা পূজিত হন দেবী চামুণ্ডা রূপে। এই পুজোয় দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয় এবং ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো হয়।এই বছর ১১ অক্টোবর, ২৪ আশ্বিন, শুক্রবার সকাল ৬টা ২২ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে সন্ধিপুজো আরম্ভ হয়।৬টা ৪৬ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড থেকে বলিদান। সকাল ৭টা ১০ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের মধ্যে সন্ধিপুজো শেষ।

timing In between of Astami and Nabami On Durgapuja sandhipuja is worshiped to Maa Durga 

আজকাল ওয়েব ডেস্ক:  আশ্বিনের শুক্লাষ্টমীর বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে দেবী দুর্গার সন্ধিপুজো হয়। চলতি বছরে শারদীয়া দুর্গাপূজায় অষ্টমী তিথি শুরু ২৩শে আশ্বিন, ইংরেজির ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, সকাল ৭টা ২৩ মিনিট ৪৬  সেকেন্ডে এবং অষ্টমী তিথি শেষ বাংলা ২৪ আশ্বিন, ইংরেজির ১১ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ৬টা ৪৬ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে।
অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনার পুজোই হল সন্ধিপুজো। মহাষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট এবং মহানবমীর প্রথম ২৪ মিনিটই হল সন্ধিপুজোর সময়কাল। সন্ধিপুজোয় দেবী দুর্গা পূজিত হন দেবী চামুণ্ডা রূপে। এই পুজোয় দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয় এবং ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো হয়।এই বছর ১১ অক্টোবর, ২৪ আশ্বিন, শুক্রবার সকাল ৬টা ২২ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে সন্ধিপুজো আরম্ভ হয়।৬টা ৪৬ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড থেকে বলিদান। সকাল ৭টা ১০ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের মধ্যে সন্ধিপুজো শেষ।

পুরাণ মতে, অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গা যখন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন, তখন তাঁকে আক্রমণ করে দুই অসুর চণ্ড ও মুণ্ড। সেই ঘটনার স্মরণেই এই পুজো করা হয়। সন্ধিপুজোয় দেবী দুর্গাকে চামুণ্ডা রূপে পূজো করা হয়। এই পুজোর মাধ্যমে মানুষের অন্তরের অসুরিক প্রবৃত্তি দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মনে করা হয়, সন্ধিপুজোর লগ্নে দেবী কালিকার জন্ম হয়েছিল দেবী অম্বিকার তৃতীয় নয়ন থেকে।যুদ্ধের সময়ে রক্তবীজ অসুরের সমস্ত রক্ত পান করে নেন দেবী কালিকা।দেবীদহে মায়ের অবতরণে একশো সাতটি ক্ষত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল একশো সাতটি পদ্মের।মহাদেব দুর্গার এই জ্বালা সহ্য করতে না পারায় তাঁর চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু নিক্ষিপ্ত হয় মায়ের একশো আটতম ক্ষতের ওপর। দেবীদহে স্নানকালে সেই অশ্রুসিক্ত ক্ষতটির থেকে যে পদ্মটি জন্ম নিয়েছিল। সেটি মা নিজে হরণ করেছিলেন। কারণ স্বামীর অশ্রুসিক্ত পদ্মফুলটি কেমন করে তিনি চরণে নেবেন।

সন্ধিপুজোর শেষ পর্যায়, অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান হয়। অনেক জায়গায় ছাগল বলি, আবার কিছু কিছু জায়গায় আঁখ, চালকুমড়ো, কলা প্রভৃতি বলি দেওয়া হয়।
শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি, ঘন্টা সব মিলিয়ে শব্দের স্রোত যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশ। মন্ত্রোচ্চারণ আর ১০৮ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে দুর্গার মুখমন্ডল। অষ্টমীতিথির বিদায় আর নবমীর আগমনে এই সন্ধিপুজো দুর্গাপুজোর অন্যতম রীতি।এই সময়ে দেবীর মধ্যে সমস্ত মায়া-মমতার অবসান ঘটে।