পুজোয় মিষ্টি খেয়েও বাড়বে না সুগার, কোন নিয়মে বশে থাকবে ডায়াবেটিস?
Durga Puja 2024 পুজোয় মিষ্টি খেয়েও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ব্লাড সুগারের চোখ রাঙানি কীভাবে উপেক্ষা করবেন? জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে।
আজকাল ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সকালে বিরিয়ানি তো রাতে চাইনিজ়। মাঝে টুকটাক খিদে পেলে রোল, ফিশ ফ্রাই, মোমো, তো আছেই। আর এসবের মধ্যেই মিষ্টির জায়গা কিন্তু কেউ নিতে পারে না। ডায়েটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুজোয় মিষ্টি খাওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি খাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে পুজোয় মিষ্টি খেয়েও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ব্লাড সুগারের চোখ রাঙানি কীভাবে উপেক্ষা করবেন? জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে।
পুজোর দিনে মিষ্টি খাওয়া হয়েই য়ায়। সেক্ষেত্রে ডায়াবিটিস রোগীরা মিষ্টি খেতে চাইলে সবার প্রথমে ভাজা মিষ্টি বাদ দিন। এই ধরনের মিষ্টি সুগার অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠিক একইভাবে খাওয়া যাবে না রসের মিষ্টি। তার বদলে খেতে পারেন হালকা মিষ্টি যুক্ত সন্দেশ।
ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিতি বোধ থাকাটা খুবই জরুরি। অর্থাৎ দোকানের মিষ্টি খান বা বাড়ির, দিনে একটার খাওয়া চলবে না। যেদিন মিষ্টি খাচ্ছেন, সেদিন চা ও কফিতে চিনি দুধ মেশানো পুরোপুরি বন্ধ করে দিন। বদলে গ্রিন টি কিংবা ভেষজ চা খেতে পারেন। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আর শর্করার মাত্রাও। একইসঙ্গে চকোলেট, আইসক্রিম, চাটনির মতো কোনও মিষ্টি খাবার খাওয়াও চলবে না।
রোজের রান্নায় চিনি দেওয়া বন্ধ করুন। গুড়, ব্রাউন সুগার, চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টি, কর্ন সিরাপ, ম্যাপেল সিরাপ, মধু, গুঁড়ো দুধ— সবেতেই চিনি থাকে। তাই মিষ্টি খেতে হলে এই সব খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে হবে। খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর, কিশমিশ অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
পুজোর সময়ও ডায়াবিটিস রোগীদের নিজের রুটিন মেনে চলতে হবে। দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। আর যাঁরা ব্যায়াম করেন না, তাঁরা ৪৫ মিনিট অবশ্যই হাঁটুন। এছাড়াও সময় মতো খান ওষুধ।