আজকাল ডেস্ক: প্রথমবার ঐতিহ্যবাহী ভবনে আয়োজিত হচ্ছে লন্ডন শারদ উৎসব। এবছর ১৬তম বছর লন্ডন শারদ উৎসবের। প্রতি বছর বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে লন্ডনের বুকে তুলে ধরা হয়। বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগেই আয়োজিত হয় এই দুর্গোৎসব।
প্রতি বছরের মতো এবছরের পুজোতেও রয়েছে নানা রকমের আকর্ষণ। এবছর চন্দননগরের আলোকসজ্জা ভরিয়ে তুলবে ঐতিহ্যবাহী ভবন পিটজাঙ্গার ম্যানর যা একটি গ্রেড ওয়ান তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী ভবন। ইলিং-এর এই আইকনিক ভবনটি। ১৯৮৭ সালে ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
পিটজাঙ্গার ম্যানর হল একটি ইংরেজ কান্ট্রি হাউস যা নিওক্লাসিক্যাল আর্কিটেক্ট স্যার জন সোয়েনের বাড়ি হিসেবে বিখ্যাত । ১৮০০ থেকে ১৮০৪ সালের মধ্যে লন্ডনের পশ্চিমে বর্তমানে ওয়ালপোল পার্ক, ইলিং -এ নির্মিত রিজেন্সি ম্যানর হল একটি বিরল এবং দর্শনীয় উদাহরণ। যা স্যার জন সোয়েন নিজেই ডিজাইন, নির্মাণ করেছিলেন এবং সেখানেই বসবাসও করতেন।
১৯৮৭ সালে হেরিটেজ আকর্ষণ হিসেবে ঘোষিত হয় পিটজাঙ্গার ম্যানর অ্যান্ড গ্যালারি। পরে ১৯৯৬ থেকে সমসাময়িক শিল্প প্রদর্শনীর স্থান হিসেবে গড়ে ওঠে। ২০১৫ সালে, একটি বড় সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় পিটজাঙ্গার। এরপর ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পুনরায় খোলা হয়। ১৭৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবার প্রথম সোয়েনের আসল নকশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এহেন ঐতিহ্যবাহী ভবনে এবার হতে চলেছে দুর্গাপুজো। কলকাতায় এবং কলকাতার বাইরেও বনেদি বাড়িতে পুজোর চল আছে। তবে বিদেশের মাটিতে, বিশেষত লন্ডনের বুকে এই হেরিটেজ ভবনের দুর্গাপুজো একটা অন্য মাত্রা যোগ করবে। চন্দননগরের সরকার ইলেকট্রিক্যালসের অরিন্দম সরকার জানিয়েছেন, " এই ঐতিহ্যবাহী ভবনের হল ঘরে ভরে উঠবে আলোয় বাংলার কল্কার নক্সায়। সঙ্গে চব্বিশ হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি ফুটে উঠবে এই উৎসব প্রাঙ্গণে। "
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ) পক্ষ থেকে লন্ডন শারদ উৎসবের আয়োজন নিয়ে অনিকেত পাত্র, পুজো অপারেশন লিড জানিয়েছেন, "এই বছরের লন্ডন শারদ উৎসব ইউরোপে দেখা সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রাণবন্ত উদযাপন হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যেহেতু আমরা দুর্গাপুজোর জাঁকজমককে লন্ডনের প্রাণকেন্দ্র পিটহ্যাংগার ম্যানরে নিয়ে এসেছি, তাই আমরা সকলকে এতে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”