'সিটি অফ জয়' নামের সার্থকতা পুজোয়, বাঙালির সেরা উৎসবে মেতেছেন কামিন্স
সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারত। ভৌগোলিক দূরত্ব কয়েক হাজার কিলোমিটার হলেও, ফুটবল মিলিয়ে দিয়েছে এশিয়ার দুই উপমহাদেশকে। নয়তো ক্যাঙ্গারুদের দেশের এক বাসিন্দার পুজো মণ্ডপে বাঙালিদের সঙ্গে সমানতালে উৎসাহে, আনন্দে মেতে ওঠার ছবি কি কল্পনা করা যায়!
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারত। ভৌগোলিক দূরত্ব কয়েক হাজার কিলোমিটার হলেও, ফুটবল মিলিয়ে দিয়েছে এশিয়ার দুই উপমহাদেশকে। নয়তো ক্যাঙ্গারুদের দেশের এক বাসিন্দার পুজো মণ্ডপে বাঙালিদের সঙ্গে সমানতালে উৎসাহে, আনন্দে মেতে ওঠার ছবি কি কল্পনা করা যায়! তাও আবার যে সে লোক নয়, একজন বিশ্বকাপার। প্রায় দু'বছর আগের কথা। কাতারে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে হাতেখড়ি হয়। ৫৬ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামেন জেসন কামিন্স। তখনও জানতেন না কয়েক মাসের মধ্যেই ভাগ্য তাঁকে নিয়ে আসবে ভারতে, তথা কলকাতায়। শহরের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন বিশ্বকাপার। সমর্থকদের আবেগ আপন করে নিয়েছেন। তাঁকে বাঙালিয়ানার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে তিলোত্তমার পুজো। গতবছর কলকাতায় প্রথম দুর্গা পুজোর সাক্ষী থাকেন অজি স্ট্রাইকার। প্রতিমা, মণ্ডপ, রাস্তায় মানুষের ঢল তাঁর মন ছুঁয়েছে। সতীর্থদের থেকে বাংলার সংস্কৃতি, পুজোর পটভূমি জেনেছেন। তাতে আগ্রহ আরও বেড়েছে। অনেক বিদেশি বা ভিন রাজ্যের ফুটবলার বছরের পর বছর কলকাতায় থেকেও পুজো মণ্ডপমুখী হয়নি। কিন্তু এই তালিকায় পড়েন না কামিন্স। মোহনবাগানে প্রথম বছরই দুর্গা পুজোয় সামিল হন। আরও একটা পুজো এসে গেলেও গতবছরের অভিজ্ঞতা মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার। কামিন্স জানান, 'অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সিটি অফ জয়-এ এই সময়টা সবাই আনন্দে থাকে। উৎসবে মাতে। এবারও আমি বাকিদের সঙ্গে পুজোর সেলিব্রেশনে যোগ দিতে চাই। এই বিষয়টা স্পেশ্যাল। আমি এই বিশেষ দিনগুলোর অঙ্গ হতে পেরে খুশি। গত বছর আমরা বেশ কয়েকটা মণ্ডপে গিয়েছিলাম। দলের বাঙালি সতীর্থদের থেকে পুজোর ইতিহাসে জেনেছি। রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। যা দেখে আমি অবাক। আমরা এগুলো উপভোগ করি। আমিও এই সেলিব্রেশনের অঙ্গ হতে চাই।'
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেলেছেন। একাধিক সংস্কৃতি, উৎসবের সাক্ষী থেকেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে কলকাতার পুজো। এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি। কামিন্স বলেন, 'আমি এতগুলো দেশে খেলেছি, কিন্তু এমন উৎসবের সাক্ষী থাকিনি। এটা স্পেশাল। ভারতে এমন অনেকগুলো জিনিস রয়েছে যার অভিজ্ঞতা আমার প্রথমবার হল। তারমধ্যে অন্যতম পুজো। আমি কলকাতার মানুষের সেরা উৎসবের অঙ্গ হতে পেরে গর্ববোধ করি।' বাগানে এটা কামিন্সের দ্বিতীয় মরশুম। প্রথমবার সাধারণ পোশাকেই দুর্গা দর্শন করেন। তবে এবার 'বাঙালি বাবু' হওয়ার জন্য তৈরি কামিন্স। পাঞ্জাবিতে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপারকে। আইএসএলের মিনি ডার্বি জয়ের পর মাঝে দুই সপ্তাহের বিরতি। তারপর সরাসরি ডার্বি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে প্রতিমা দর্শনে বেরোনোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন বাগানের তারকা স্ট্রাইকার। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য তৈরি দুই দেশওয়ালি ভাই দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং জেমি ম্যাকলারেন।