সুলতানা, আমিনাদের পুজো এবার ৭৫ বছরে, বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে

ঢাকে পড়েছে কাঠি, বাঙালির উৎসব শুরু। আজ কথা বলব উন্নয়নী সংঘের পুজো নিয়ে। এবার এই ক্লাবের পুজো পড়েছে ৭৫ বছরে। তাদের থিম বন্যেরা বনে সুন্দর।

Durgapuja celebration in ujjayani club

ঢাকে পড়েছে কাঠি, বাঙালির উৎসব শুরু। আজ কথা বলব উন্নয়নী সংঘের পুজো নিয়ে। এবার এই ক্লাবের পুজো পড়েছে ৭৫ বছরে। তাদের থিম বন্যেরা বনে সুন্দর। 

মণ্ডপজুড়ে রয়েছে জঙ্গলের ছোঁয়া। এক বিশেষ ধরনের আর্ট চোখে পড়বে প্রবেশ করলেই। এর পোশাকি নাম গাউন্ড আর্ট। কোথাও হরিণ, কোথাও হাতি, কোথাও মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সঙ্গে আলো আঁধারির খেলা। ঢুকলে হারিয়ে যাবেন অন্য জগতে। 

বর্তমানে বন ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের। আবার অনেক সময় জায়গা সংকুলনের ফলে তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, ক্ষতি করছে। তাই বন বাঁচাতে। বনের সঙ্গে সেখানকার জীবজন্তুদের নিবিড় টান দেখানো হয়েছে মণ্ডপজুড়ে। 

উন্নয়নী সংঘের প্ল্যাটিনাম জুবিলি বর্ষের পূজোর দ্বার উদ্ঘাটন করেন বম্বের বিখ্যাত চলচ্চিত্র শিল্পী মীনাক্ষী শেষাদ্রী। শারদোৎসব এর সূচনায় উপস্থিত ছিলেন ১১৫ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা শ্রীমতী রত্না শুর মহাশয়া ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।  

এ বছরের প্রতিমা বানিয়েছেন শিল্পী সনাতন পাল। এবারের থিমের প্ল্যান যিনি বানিয়েছেন তাঁর নাম মানস রায়। গতবারের থিম ছিল রাজকীয় বাঙালি। কুঁদঘাটের এই পুজোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, পুজোর আলপনা আঁকেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মেয়েরা। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই অন্য ধর্মাবলম্বী। সুলতানা, আমিনাদের মধ্যে পুজো নিয়ে উৎসাহ থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর পুজোর পাশাপাশি খাওয়ানো হয় দুস্থ মানুষদের। এবার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে থাকছে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানও।