ধুপ, ধুনোর মধ্যে হাসির ঝলক, নবদুর্গা পূজিত হচ্ছেন কুমারী হিসেবে

দুর্গাকে নবরূপে পূজা করা হয় এখানে। তাই কুমারীও এখানে একজন কিংবা দুজন নয়, নয় জন কুমারী। কারও বয়স চার কিংবা পাঁচ তো কারও আর একটু বেশি। এভাবেই কুমারী পুজো সম্পন্ন হয় উদঘাটের উন্নয়নী ক্লাবে।

Kumari Puja celebrated in unnyani club in kolkata

দুর্গাকে নবরূপে পূজা করা হয় এখানে। তাই কুমারীও এখানে একজন কিংবা দুজন নয়, নয় জন কুমারী। কারও বয়স চার কিংবা পাঁচ তো কারও আর একটু বেশি। এভাবেই কুমারী পুজো সম্পন্ন হয় কুঁদঘাটের উন্নয়নী ক্লাবে। 

অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণে হয় কুমারী পুজো। সকাল ১১ টায় পুজো শুরু হতেই দেখা যায়, ঠাকুরের সামনের চেয়ারে বসে আছে আরও কিছু ছোট্ট ঠাকুর। কারও লাল আবার কারও হলুদ শাড়ি। এবারের ছোট্ট কুমারীরা। মুখে এক গাল হাসি, আপন মনে হাতে রাখা পদ্ম নিয়ে খেলছে তারা। পূজার্চনায় ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের। 

এই ক্লাবের পুজো পড়েছে ৭৫ বছরে। তাদের থিম বন্যেরা বনে সুন্দর। মণ্ডপজুড়ে রয়েছে জঙ্গলের ছোঁয়া। এক বিশেষ ধরনের আর্ট চোখে পড়বে প্রবেশ করলেই। এর পোশাকি নাম গাউন্ড আর্ট। কোথাও হরিণ, কোথাও হাতি, কোথাও মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সঙ্গে আলো আঁধারির খেলা। ঢুকলে হারিয়ে যাবেন অন্য জগতে। 

বর্তমানে বন ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের। আবার অনেক সময় জায়গা সংকুলনের ফলে তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, ক্ষতি করছে। তাই বন বাঁচাতে। বনের সঙ্গে সেখানকার জীবজন্তুদের নিবিড় টান দেখানো হয়েছে মণ্ডপজুড়ে। 

উন্নয়নীর প্রতিমা বানিয়েছেন শিল্পী সনাতন পাল। এবারের থিমের প্ল্যান যিনি বানিয়েছেন তাঁর নাম মানস রায়। গতবারের থিম ছিল রাজকীয় বাঙালি। কুঁদঘাটের এই পুজোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, পুজোর আলপনা আঁকেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মেয়েরা। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই অন্য ধর্মাবলম্বী। সুলতানা, আমিনাদের মধ্যে পুজো নিয়ে উৎসাহ থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর পুজোর পাশাপাশি খাওয়ানো হয় দুস্থ মানুষদের। এবার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে থাকছে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানও।