বড় মা’র পুজো দিতে চান? এবছর লগ্ন কখন, কখন অঞ্জলি, কখন প্রসাদ বিতরণ! দেখে নিন
Kali Puja: বড় মা’র পুজো দিতে চান? এবছর লগ্ন কখন? কখন অঞ্জলি? কখন প্রসাদ বিতরণ জানেন? জেনে নিন একনজরে।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শক্তি আরাধনায় দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট ও তারাপীঠের নাম সকলেই জানেন। পাশাপাশি রাজ্যে আরও এক বিখ্যাত ও জাগ্রত দেবী কালী রয়েছেন। তিনি হলেন নৈহাটির বড়মা। চলতি বছর এই পুজো ১০১ বছরে পড়েছে। একশো কেজি সোনার গয়না পরা বড়মার থানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, এক ঝলক দেখার জন্য ভিড় করেন। নেপথ্যে রয়েছে অনেক অজানা কথা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ থেকে প্রায় ১০১ বছর আগে নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী ও তাঁর চার বন্ধু মিলে নবদ্বীপে ভাঙা রাস দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে তাঁদের চোখ কার্যত কপালে উঠেছিল। বিশাল আকৃতির ওই মূর্তি দেখে ওই যুবকের দল বিস্মিত হয়ে পড়েন। রাস মেলা থেকেই তাঁরা মনস্থির করেন, নৈহাটিতে বিশাল আকার একটি রক্ষাকালী মূর্তি গড়বেন। কথিত আছে, নৈহাটির বড় মায়ের পুজো ভবেশ চক্রবর্তী স্থাপন করেছিলেন। তাই, স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলে থাকেন। ভবেশ চক্রবর্তী ও তাঁর বন্ধুরা মিলে প্রায় ২১ ফুট উচ্চতার একটি কালী মায়ের মূর্তি স্থাপন করেন। আকারে বিশালতার জন্য এই কালী মাকে এখানে বড় মা বলে ডাকা হয়। পুজোর দিন বড়মাকে ১০০ কেজির সোনার গহনা পরানো হয়। মন্দির চত্বরে থাকে কড়া নিরাপত্তা। রীতি অনুযায়ী, বড়মার পুজো শুরু না হলে নৈহাটির কোনও পুজো শুরু হয় না। একদিন নয়, টানা পাঁচদিন ধরে চলে বড়মার উপাসনা।
বহু জায়গার মানুষ বড় মা'র পুজো দিতে চান। আসেন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ। বড় মা’র পুজো দিতে চান? এবছর লগ্ন কখন? কখন অঞ্জলি? কখন প্রসাদ বিতরণ জানেন? জেনে নিন একনজরে।
রাস্তার উপর যেহেতু পুজো সবসময় দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকছে মণ্ডপ। পুজো শুরু হবে, ৩১ অক্টোবর, রাত ১১টায়। রাত ১টার পর অঞ্জলি। পুজোর পরেই, অনেকেই জানতে চান, কখন, কীভাবে পুজোর ভোগ-প্রসাদ পাওয়া যাবে? অঞ্জলির পর ভোগপ্রসাদ দেওয়া হবে। তবে জানানো হয়েছে,যতক্ষণ ভোগ থাকবে, সবাইকে দেওয়া হবে ভোগ।
আর যাঁরা পুজো দেবেন, তাঁরা ১নভেম্বর নৈহাটি মহেন্দ্র স্কুল এবং নৈহাটি পুরসভার সামনে থেকে কুপন দেখিয়ে প্রসাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত প্রসাদ বিতরণ করা হবে। প্রতিমা বিসর্জন হবে ৪ নভেম্বর।
বিসর্জনের দিন দেবীমূর্তিকে ফুলের সাজে সাজিয়ে বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বড় মায়ের বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির অন্য কোনও কালীমূর্তিকে বিসর্জনও করা যায় না। বড়মার বিসর্জন উপলক্ষে আলোর কার্নিভালেরও আয়োজন করা হয়।