২০০ বছরের মাতৃ আরাধনায় অন্বেষার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে অজানা ইতিহাস! কী বললেন অভিনেত্রী?

প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হলেও শিকড়ের টানে পুজোর সময় বারবার ফিরে যান নিজের গ্রামে। অন্বেষার কাছে পুজো মানেই গ্রামের বাড়ির দুর্গাপূজা।

anwesha hazra talked about her historical durga puja at home and shared rituals of their family ent
অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: টলিউডের পরিচিত মুখ অন্বেষা হাজরা। বর্ধমানের ছোট্ট গ্রাম মেমারি থেকে দু'চোখে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হলেও শিকড়ের টানে পুজোর সময় বারবার ফিরে যান নিজের গ্রামে। অন্বেষার কাছে পুজো মানেই গ্রামের বাড়ির দুর্গাপূজা।

বাড়ির পুজো নিয়ে আজকাল ডট ইন-কে তিনি জানান, ইংরেজ আমলেই শুরু হয়েছিল বাড়ির পুজো। পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা নিয়ম এবং রীতিনীতি। গ্রামের বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে আজ প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে। স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই পুজোর শুরু।

অন্বেষার কথায়, "দাদুর বড়পিসি স্বপ্নাদেশ পেয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন পুজোর কাজে কী কী লাগে, এমনকি ঠাকুরের বসার জায়গা পর্যন্ত। সেই থেকেই শুরু পুজো। তারপর এর বছর ধরে চলছে মাতৃ আরাধনা। কিন্তু শাক্ত মন্ত্রে নয়, পুজো হয় বৈষ্ণব মন্ত্রে। নবমীতে বলির রীতি রয়েছে কিন্তু ফল ফলাদি। অন্নভোগ হয় না, হয় লুচি ভোগ। যেহেতু বাড়ির পুজো, যথারীতি উপস্থিত থাকেন প্রত্যেকেই। যারা সারাবছর আসতে পারেন না, দেশ বিদেশ থেকে তাঁরাও আসেন। পুজো মানেই একসঙ্গে গালগল্প, ভাইবোনের সঙ্গে।" 

তিনি বলেন, "ভোগের মধ্যে ক্ষীর, ছানা, লুচি খুব পছন্দের আমার। ষষ্ঠী থেকে দশমী গোটা গ্রামের নেমন্তন্ন থাকে। পুজোর আগে ঠাকুর দালানেই কুমোর প্রতিমা তৈরি করেন। ৫০০ বছরের বেশি পুরনো কুলদেবতা গোপাল থাকেন দেবী মূর্তির সঙ্গেই।"

অন্বেষা আরও বলেন, "বাড়ির বড়রাই থাকেন পুজোর দায়িত্বে। ছোটবেলায় দালানে আলপনা দেওয়ার দায়িত্ব থাকলেও এখন আর সেটা হয়না। কলকাতায় সারাবছর থাকলেও আজ পর্যন্ত কলকাতার পুজো দেখিনি। আজও পুজো মানে আমার কাছে বাড়ির পুজো।"

প্রসঙ্গত, জি বাংলার আসন্ন ধারাবাহিক 'আনন্দী'তে ফের ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটিতে দেখা যেতে চলেছে অন্বেষাকে।