এবার বহরমপুরে ডিজনিল্যান্ড, মানুষের মন কাড়তে পুজো মণ্ডপে থাকছে থ্রিডি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো
আশ্বিনের আকাশ জুড়ে এখন শুধুমাত্র আগমনীর সুর। চারিদিকে সাজ সাজ রব। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত রাজ্যবাসী । শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলা জুড়ে চলছে প্যান্ডেল তৈরির শেষ তোড়জোড়।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আশ্বিনের আকাশ জুড়ে এখন শুধুমাত্র আগমনীর সুর। চারিদিকে সাজ সাজ রব। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত রাজ্যবাসী । শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলা জুড়ে চলছে প্যান্ডেল তৈরির শেষ তোড়জোড়। নজরকাড়া মণ্ডপ তৈরি করে মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত চুনাখালি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চুনাখালি অরবিন্দ স্মৃতি সংসদের কর্মকর্তারা।
৪৭ বছরের পুরনো এই পুজোর এবারের থিম প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড। মূলত কচিকাঁচাদের কথা মাথায় রেখেই এবছর এই থিমের অবতারণা। শুধু মণ্ডপ সজ্জাতেই নয়, আলোকসজ্জাতেও রয়েছে বিশেষত্ব। এবছর ডিজনিল্যান্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৩২ লাখ টাকা বাজেটের এই পুজোর মণ্ডপের গায়ে থাকবে থ্রিডি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-এর ব্যবস্থা।
চুনাখালি অরবিন্দ স্মৃতি সংসদ পুজো কমিটির সম্পাদক কাঞ্চন মণ্ডল জানান, 'এবছর বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য ডিজনিল্যান্ডের বিভিন্ন চরিত্রকে আমরা থ্রিডি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-এর মাধ্যমে মণ্ডপের গায়ে ফুটিয়ে তুলব। এক একটি শো-এর দৈর্ঘ্য ১৫ মিনিট। মাঝে থাকবে মিনিট পাঁচেকের বিরতি।' তিনি আরও জানান, 'মণ্ডপসজ্জা এবং আলোকসজ্জার পাশাপাশি ডিজনিল্যান্ডের থিম অনুসারে দুর্গা মায়ের প্রতিমা হবে বিশাল আকারের। সেই তুলনায় তার ছেলেমেয়েদের উচ্চতা অনেক কম। আর দেবী দুর্গা ও তার পরিবারের সকলের বাহনগুলি হবে ডিজনিল্যান্ডের বিভিন্ন চরিত্রের আদলে। যেমন সরস্বতীর হাঁসের বদলে সেখানে থাকবে ডিজনিল্যান্ডের 'ডাক' ক্যারেক্টার।'
কাঞ্চনবাবুর কথায় উঠে এল তাঁদের এই থিম সম্পর্কিত নানা তথ্য। মূলত ভারতীয় স্থাপত্য শিল্পকে তুলে ধরাই এই পুজো উদ্যোক্তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই অনুসারে ২০২২ সালে রাজস্থানের 'শিশ মহল' এবং ২০২৩ সালে গুজরাটে 'বিশ্বমিত্রী ধাম'-এর আদলে তৈরি করা হয়েছিল তাদের পুজো মণ্ডপ। আর এবার বিদেশের স্থাপত্য শিল্প উঠে আসছে তাদের মণ্ডপ সজ্জায়। এর অন্যতম কারণ হিসেবে কাঞ্চন জানান, 'জেলার বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ দেশের বা বিদেশের স্থাপত্য শিল্পগুলো চাক্ষুষ করতে পারেন না। তাঁদের পক্ষে অত দূরে গিয়ে সেগুলি দেখা সম্ভব হয় না। তাই মণ্ডপ সজ্জার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের স্থাপত্য শিল্পগুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।'
কাঞ্চন আরও জানান, '২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছরই রাজ্য সরকারের 'বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান' থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যমের পুজো পরিক্রমা সম্মান পেয়ে আসছে চুনাখালি অরবিন্দ স্মৃতি সংসদ। আমরা আশা করছি এই বছরও আমরা সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পারব।'
আগামী ৮ অক্টোবর অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন জনসাধারণের জন্য এই ডিজনিল্যান্ডের দরজা খুলে দেবেন উদ্যোক্তারা। ওই দিন এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করবেন সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ, জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার।