ভিতরে-বাইরে শুধুই রাজস্থান, প্রথম বর্ষেই চমক দিতে তৈরি হুগলির এই পুজো মণ্ডপ
এক টুকরো রাজস্থানের ছোঁয়া ব্যান্ডেলে। হুগলির ব্যান্ডেলের কেওটায় এবার দেখা মিলবে রাজস্থানের নানান বৈচিত্র্য।

আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক টুকরো রাজস্থানের ছোঁয়া ব্যান্ডেলে। হুগলির ব্যান্ডেলের কেওটায় এবার দেখা মিলবে রাজস্থানের নানান বৈচিত্র্য। ব্যান্ডেল কেওটা কদমতলার অগ্রগামী সংঘের পুজো এই বছর প্রথম। জানা গেল, কদমতলা অগ্রগামী সংঘের এবারের থিম এক টুকরো রাজস্থান। বাঁশ, রং, প্লাইউড, ফোম, ওড়না, ফাইবার দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। গোটা মণ্ডপটিই তৈরি করা হচ্ছে রাজস্থানি মন্দিরের আদলে। ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে নানান রাজস্থানি ঘরানার পুতুল।
সেই সব পুতুল দিয়ে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানান কারুকার্য। মণ্ডপটি নির্মাণ করছেন শিল্পী তরুণ নন্দী এবং শিল্পী নিশীথ পাল। মণ্ডপের ভেতরে থাকছে সাবেকি প্রতিমা। যেটি নির্মাণ করছেন শিল্পী গোপাল পাল। পুজো কমিটির সম্পাদক রবি মুখার্জী বলেন, ‘এই বছর আমরা প্রথম পুজো করছি। আমরা রাজস্থানের নানা বৈচিত্র্য ফুটিয়ে তুলেছি আমাদের মন্ডপসজ্জায়। বিশেষ করে রাজস্থানি ঘরানার ঐতিহ্যপূর্ণ পুতুলের নানা কারসাজি তুলে ধরেছি আমরা’। দর্শনার্থীদের কাছে এই পুজো মণ্ডপ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।
উল্লেখ্য, সুষ্ঠুভাবে যাতে সাধারণ মানুষ উৎসবের মরশুমে রাস্তায় বেরোতে পারেন তার জন্য নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখছে না পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়া থানায় আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে ডিসিপি চন্দননগর অলকানন্দা ভাওয়াল এই কথা জানান। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসিপি চন্দননগর সোমনাথ ব্যানার্জী, এসিপি ডিডি সুমন চ্যাটার্জী, চন্দননগর থানার আইসি শুভেন্দু ব্যানার্জী, চুঁচুড়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা, ভদ্রেশ্বর থানার আইসি আশিস দলুই, চুঁচুড়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মান্দাতা সাউ সহ পুলিশের আধিকারিকরা।
ডিসিপি বলেন, ‘জেলা সদর চুঁচুড়ায় দূর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম হয়। এই এলাকায় একাধিক বড় বড় পুজো হয়ে থাকে। এই বছর চুঁচুড়ায় অনেক বারোয়ারির জুবিলি রয়েছে। ফলে এই বছর মানুষের সমাগম আরও বাড়বে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ বছর পুলিশি ব্যবস্থা আরও আটোসাঁটো করা হচ্ছে’।
জানা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আমজনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যেই ট্রাফিকের তরফে নাকা চেকিং চালু করা হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় যাতে কেউ গাড়ি না চালায় সেদিকে নজরদারি করা হবে। পাশাপাশি উইনার্স টিম, গ্রীন পুলিশ, পিঙ্ক মোবাইল মহিলা পুলিশের টিম টহল দেবে। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাকেও মোতায়েন থাকবে পুলিশ।
শহরের বেশ কিছু রাস্তায় প্রতি বছরই ভিড় উপচে পড়ে তাই পুজোর দিনগুলিতে কিছুটা সময়ের জন্য সেসব রাস্তায় নো এন্ট্রি করা হবে। যানবাহন চলাচলে যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য গাড়িগুলোকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। চুঁচুড়ার পাশাপাশি শ্রীরামপুরেও বড় বড় দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। তাই পুজোর কদিন শ্রীরামপুরেও থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা। গত বছরের মত এবছরেও শ্রীরামপুরে হবে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। ডিসি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস এদিন কার্নিভালের রুট পরিদর্শন করেন।