বাদামের খোল খুলতেই চমক! লক্ষ্মীপুজোর আগে বাঁকুড়ার শিল্পীর অনন্য সৃষ্টি দেখলে চমকে যাবেন
সোমবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তার আগে বাঁকুড়ার এক শিল্পীর অবিস্মরণীয় শিল্পকর্মে তাক লেগে গিয়েছে সকলের।

আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তার আগে বাঁকুড়ার এক শিল্পীর অবিস্মরণীয় শিল্পকর্মে তাক লেগে গিয়েছে সকলের। বাদামের খোল দিয়ে এক অন্যরকম শিল্পে সকলকে চমকে দিয়েছেন তিনি। বাদামের খোলের ভিতরে মা লক্ষ্মীর প্রতিমা তৈরি করেছেন তিনি। খোল খুলতেই যেন আবির্ভাব ঘটছে স্বয়ং মা লক্ষ্মীর! এমনই এক অভিনব সৃষ্টি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন বাঁকুড়ার শিল্পী ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়।
মাত্র ৪ সেন্টিমিটার সাইজের একটি বাদামের খোলের ভেতর গড়ে উঠেছে লক্ষ্মী মায়ের প্রতিমা। কাজ এতটাই সূক্ষ্ম ও নিখুঁত যে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ইন্দ্রনীলবাবুর হাতের কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন শিল্পপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।
শিল্পী ইন্দ্রনীল জানান, ‘প্রথমে বাদামের খোল সাবধানে খুলে সেটি পরিষ্কার করি। তারপর তাতে মাটি দিয়ে লক্ষ্মী মাতার কাঠামো তৈরি করি। তার পর রং, সাজসজ্জা ও কেশ পরিয়ে প্রতিমার রূপ দিই। লক্ষ্মী ঠাকুরের প্রতিমার এক হাতে পদ্মফুল, অন্য হাতে লক্ষ্মীর ভাঁড় রয়েছে। পুরো কাজটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন লেগেছে’।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে এমন অভিনব ভাবনা ও শিল্পসৃজন কেবলই শিল্পীর প্রতিভা নয়, তা একপ্রকার আধ্যাত্মিক নিবেদনও বটে। বাদামের খোলের মতো ক্ষুদ্র পরিসরে দেবী মূর্তি গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টা এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে শিল্পপ্রেমী সকলের মুখে এখন একটাই নাম, ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর এই সৃজনশীল শিল্পকর্ম যেন গোটা বাঁকুড়াকে গর্বিত করেছে। এমন অভিনব চিন্তাধারা ও নিখুঁত হাতের কাজ শুধুমাত্র ইন্দ্রনীলের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, তা আজ বাঁকুড়ার শিল্প-ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেকে। ছোট্ট বাদামের খোলে যে এত বড় শিল্পের মহিমা লুকিয়ে থাকতে পারে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন বাঁকুড়ার ইন্দ্রনীল।