পুজোয় একটানা রোল-বিরিয়ানি খেয়ে ক্লান্ত! ঘরোয়া আড্ডায় চটজলদি বানিয়ে নেবেন মুখরোচক কোন কোন স্ন্যাক

Durga Puja 2025: মোঘলাই খাবার থেকে শুরু করে এগরোল, চাউমিন, বিরিয়ানি, চপ—প্রায় সবই যেন আমাদের উৎসবের তালিকায় অপরিহার্য। তবে এই তেলেভাজা ও ভারী খাবারের অতিরিক্ত ভোজ কখনও কখনও ক্লান্তি এবং অস্বস্তিও তৈরি করে।

Durga Puja 2025 Healthy and easy snacks recipe

দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির পেটপুজোর বাহার! এই সময়ে মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, ফুল, ঢাক এবং আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে থাকে নানা রকমের সুস্বাদু খাবারের ভরপুর আয়োজন। মোঘলাই খাবার থেকে শুরু করে এগরোল, চাউমিন, বিরিয়ানি, চপ—প্রায় সবই যেন আমাদের উৎসবের তালিকায় অপরিহার্য। তবে এই তেলেভাজা ও ভারী খাবারের অতিরিক্ত ভোজ কখনও কখনও ক্লান্তি এবং অস্বস্তিও তৈরি করে।

এই কারণেই স্বাস্থ্যকর ও হালকা স্বাদের স্ন্যাক্সকে পুজোর সময়ে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি। ঘরোয়া আড্ডায় বা অতিথি আপ্যায়নে সহজেই তৈরি করা যায় এমন স্ন্যাক্স যা পেট ভারী না করে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায় এবং হজমেও সহজ। এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর খাবার সকলের জন্যই উপযুক্ত।


দেখে নেওয়া যাক কী কী রাখা যেতে পারে পাতে।

ভাজা ছোলা: খাস্তা, প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালোরি। খিদে দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত।

অঙ্কুরিত মুগের স্যালাড: অঙ্কুরিত মুগ, পেঁয়াজ, টম্যাটো এবং লেবুর রস দিয়ে তৈরি। হজমে সহায়ক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

মিষ্টি আলুর চাট: ফাইবার সমৃদ্ধ, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। টক-মশলাদার এবং সুস্বাদু।

মাখানা: কম ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ। হালকা, তৃপ্তিদায়ক। ঘি, হলুদ এবং নুন দিয়ে ভাজলে আরও সুস্বাদু।

মাল্টিগ্রেইন খাখরা: গম, মিলেট এবং মশলা দিয়ে তৈরি খাস্তা ফ্ল্যাটব্রেড। পুদিনার চাটনি বা দইয়ের সঙ্গে খেতে দারুণ। কম ফ্যাট, প্রচুর ফাইবার।

ধোকলা: গুজরাটের একটি ফারমেন্টেড হালকা, ফ্লাফি স্ন্যাক। সহজে হজম হয় এবং প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ।

পোহা: সর্ষের বীজ, কারি পাতা এবং সবজি দিয়ে ভাজা চিড়ে। হালকা, আয়রন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর।

শশা এবং চিড়ের চাট: তাজা শশা, ভাজা চিনাবাদাম, লেবুর রস এবং মসলা দিয়ে। শীতল, হাইড্রেটিং এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ।

মাছ-মাংস খেয়ে একঘেয়ে লাগলে খুব সহজেই মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনবে ঘরোয়া এই স্ন্যাকগুলি। স্বাস্থ্যও রাখবে ভাল। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাদ্য নির্বাচনেও সচেতন হওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস যেমন ফল, বাদাম, হালকা মিষ্টি  খেলে আমরা কেবল আমাদের স্বাদই নয়, বরং আমাদের শরীরকেও উপকৃত করতে পারি। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাবার সব বয়সের মানুষের জন্যই নিরাপদ, হজমে সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার মাধ্যমে আমরা পুজোর আনন্দকে আরও সতেজ, সুস্থ এবং উপভোগ্য করে তুলতে পারি।